ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ এপ্রিল: পাকিস্তান সেনায় গণ ইস্তফার ঘটনা সামনে এসেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনার মনোবল তলানিতে পৌঁছেছে, এবং অনেকেই সেনাবাহিনীতে কাজ করতে আগ্রহী নন। এই পরিস্থিতিতে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ বুখারি সেনাপ্রধানকে চিঠি লিখে গণইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ইস্তফার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২৫০ জন সেনা অফিসার এবং প্রায় ১২০০ জন সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিশেষত সিন্ধু ও নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ারে একাধিক সেনা কর্মী তাদের পদ ত্যাগ করেছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও ইস্তফা দিয়েছেন। অধিকাংশ ইস্তফার কারণ হিসেবে অসুস্থতা এবং মানসিক চাপ উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তান সেনার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিজি আইএসপিআর, মেজর জেনারেল, সেনাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে কেউ ইস্তফা দিতে পারবেন না। যদি কেউ ইস্তফা দেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণ-ইস্তফার পর পাকিস্তান সেনার জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে, সীমান্ত রক্ষা করবে কে? শুধু সেনা জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও ইস্তফা দিচ্ছেন। এই অবস্থায়, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলে, সেনার নেতৃত্ব কে দেবে—এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক মাস আগে পাকিস্তানের জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, আসিম মুনিরের নেতৃত্বে তারা অসন্তুষ্ট। তাঁকে পদচ্যুত না করলে বিদ্রোহের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এখন, পহেলগাঁও হামলার পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, পাক সেনার গণইস্তফা একটি বড় চিন্তা এবং সমস্যা হয়ে উঠেছে।
Comments are closed.