Big Breaking : কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে সকল রুফটপ রেস্তোরাঁ…..

21

কলকাতা, ২মে: শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ জারি করল কলকাতা পুরসভা (KMC)। মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, আর কোনও ছাদ দখল করে রেস্তোরাঁ চালানো যাবে না। ছাদে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ বলেও তিনি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত গতকাল পার্ক স্ট্রিটে একটি অফিসে হঠাৎই পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বাড়িতে ঢুকেই তিনি দেখতে পান গ্যাস চেম্বার রয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি রেস্তোরা সহ একটি রুফটপ রেস্তরাও ছিল মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ সেটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন আগুন লাগলে মানুষ ছাদে গিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারে, ছাদ কোনোভাবেই দখল করে রাখা যাবে না।

ঠিক তারপরেই আজ কলকাতা পুরসভার তরফে এই সিদ্ধান্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর শহরে রুফটপ রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সব রুফটপ রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, আপাতত ছাদ ব্যবহারের অনুমতি সীমিত করা হয়েছে এবং সেই সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে। বর্তমানে যেসব রুফটপ রেস্তোরাঁ চালু রয়েছে, সেগুলিও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মেয়র জানান, “আমি পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে অনুরোধ করেছি, যাতে তিনি সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁর তালিকা আমাদের সরবরাহ করেন। সেই তালিকার ভিত্তিতে আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে নোটিস পাঠাব।” তিনি আরও বলেন, বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের মেছুয়াবাজারে ফলপট্টির একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একাধিক গাফিলতির চিত্র সামনে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই হোটেলে বিপুল পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। পাশাপাশি, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলের ডিজি রণবীর কুমার জানান, ওই হোটেলের ‘ফায়ার লাইসেন্স’ তিন বছর আগেই মেয়াদপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই লাইসেন্স নবীকরণ করেননি হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু আগুন লাগার সময় তা কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি।

Comments are closed.