PM meets IAF Chief : বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কোন পথে প্রত্যাঘাত?

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ৪মে: শনিবার কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এবং বৈঠকের বিষয়বস্তু কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়। এরপর রবিবার সকালে ফের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা পর্যালোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী—এবার বায়ুসেনা প্রধান অমলপ্রীত সিং ও অন্যান্য শীর্ষ বায়ুসেনা আধিকারিকদের সঙ্গে (PM meets IAF Chief)। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই বৈঠকে বায়ুসেনার প্রস্তুতি ও কৌশলগত অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর, যদিও এই বৈঠকের নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সীমান্তে মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব স্পষ্ট করে তুলছে।

আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে—ভারত কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। জব্বলপুরের খামারিয়া অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি যাঁরা আগে থেকেই ছুটিতে ছিলেন, তাঁদেরও জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও কর্মীকে ছুটি না দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই প্রশ্ন উঠছে—তবে কি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্র উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?

উল্লেখযোগ্যভাবে, পহেলগাঁও হামলার ১২ দিন কেটে গেলেও এখনও ধরা পড়েনি ২৬ জন নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যাকারী জঙ্গিরা। কাশ্মীরজুড়ে একাধিক অভিযান ও ধরপাকড় চললেও এখনও পর্যন্ত হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার বা নিকেশ করা সম্ভব হয়নি। তদন্তে উঠে এসেছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন জঙ্গি—তাদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি ও বাকি দু’জন কাশ্মীরি। অভিযুক্ত চারজনের স্কেচ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। পাশাপাশি, এই হামলায় ‘পথপ্রদর্শক’ হিসেবে আদিল কঠোর নামে এক জঙ্গির নামও সামনে এসেছে। এর বাইরে আরও কারা এই হামলায় যুক্ত ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে পুরোদমে।

Comments are closed.