India Water Strike : এবার ভারতের ওয়াটার স্ট্রাইক, প্রথমে শুকিয়ে, চন্দ্রভাগার জলেই ডুবিয়ে মারবে পাকিস্তানকে
ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ মে: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পাকিস্তান ভারতকে লক্ষ্য করে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।এদিকে, ভারত পাকিস্তানের প্রতি আরও একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে। চন্দ্রভাগা (Chandrabhaga Dam) বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে হু হু করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে পাকিস্তানের দিকে (India Water Strike)। এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
ভারতীয় সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের দৃঢ় অবস্থান ও সামরিক প্রস্তুতি সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দিল্লিতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রতি মুহূর্তের আপডেটের জন্য নজর রাখা হচ্ছে।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবেই প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিন্ধু ও উপনদী চন্দ্রভাগা, ঝিলমের জল। পাকিস্তানের রাতারাতি শুকিয়ে মরার মতো অবস্থা হয়, কারণ এই নদীগুলির উপরই নির্ভরশীল পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ।
জম্মুতে অতি ভারী বৃষ্টির পর পাকিস্তানে এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চেনাব নদীতে নির্মিত বগলিহার বাঁধের চারটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার এই চেনাব নদীতেই নির্মিত রিয়াসি সালাল বাঁধের ৩টি ফটকও খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের ফাটক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বের হচ্ছে। শুক্রবারের খবর অনুসারে, চন্দ্রভাগা নদীর উপর সালাল বাঁধের ৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত।
চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর ভারী বৃষ্টির কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিয়ালকোট অঞ্চলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বন্যার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, রামবানসহ জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, এবং বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ভারত সম্প্রতি সালাল বাঁধের তিনটি লকগেট এবং বগলিহার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি গেট খুলেছে, যার ফলে চেনাব নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে পাকিস্তানে সম্ভাব্য বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সালাল বাঁধটি জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় অবস্থিত এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা জম্মু-কাশ্মীরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
রামবান জেলায় ভারী বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হঠাৎ করে আসা বন্যা রামবান বাজারকেও প্রভাবিত করেছে, তবে কারও হতাহতের খবর নেই।
Comments are closed.