Operation Sindoor DGMO PC : অপারেশন সিঁদুর-এ নাস্তানাবুদ পাকিস্তান, প্রমাণ করে দিল ভারতীয় সেনা

8

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে অপারেশন সিঁদুর পরিচালিত হয়েছে। সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি এবং ৩৫-৪০ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে অভিযানের সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে শত্রু দমনের কৌশল ও কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকের (Operation Sindoor DGMO PC) শুরুতে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করা হয়, যা ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বৈঠকে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকের হত্যা স্মরণ করা হয়, যা অপারেশন সিঁদুর চালানোর অন্যতম কারণ ছিল। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদীদের ও তাদের পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-এর ৯টি জঙ্গিঘাঁটিকে ধ্বংস করেছে। এই অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ ও পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিরাও রয়েছে।

৭ মে ভারতের বিমান বাহিনী কীভাবে হামলা চালিয়েছিল, তা বিস্তারিতভাবে জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বহাওয়ালপুরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার পরবর্তী পরিস্থিতির দৃশ্যও প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়, ভারতের লক্ষ্য ছিল প্রধান জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি। যেমন, মুরিদকের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা ফেলা হয়েছিল, যেখানে লস্করের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত ছিল।

ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানিয়েছেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। ৯-১০ মে রাতে পাকিস্তানি ড্রোন ও বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করে, সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর চেষ্টা করে। তবে বেশিরভাগ হামলাই প্রতিহত করা হয়, আর কিছু আছড়ে পড়লেও বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছে, অন্যদিকে সংঘর্ষের আবহে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ৫ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন।

সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানান যে ভারতীয় বাহিনী চাকলালা, রফিকি-সহ পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারতের এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকলেও সংযত ও পরিকল্পিত জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরপর শনিবার দুপুর ৩:৩৫ নাগাদ, পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তানই সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যা তিনি বৈঠকে স্পষ্ট করেছেন।

Comments are closed.