Operation Sindoor DGMO Brief : পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে বড় ঘোষণা সেনাবাহিনীর

7

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর। অভিযানে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধের আবহ তৈরি হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসেন। মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়, তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে। শনিবার রাতে কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এই পরিস্থিতিতে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেন, রবিবার রাত হবে পরবর্তী পর্যায়ের সিদ্ধান্তমূলক সময়। যদি ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে ভারত কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাব ভারত কখনোই বরদাস্ত করবে না (Operation Sindoor DGMO Brief)।

পহেলগাঁও হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৭ মে মধ্যরাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে, যার ফলে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এরপর থেকেই অপারেশন সিঁদুর চলতে থাকে। পাকিস্তান বারবার পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও, ভারতীয় সেনা প্রতিবারই তাদের হামলা ব্যর্থ করে দেয়। ভারত ক্রমশ প্রত্যাঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে থাকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে সরে দাঁড়াতে চাইলে, ঘুরপথে ভারতকে সেই আর্জি জানানো হয়। শনিবার বিকেল ৫টায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়, তবে সে সময়ই বলা হয়েছিল, যদি পাকিস্তান উস্কানিমূলক কার্যকলাপ চালায়, তাহলে ভারত পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে। শনিবার রাতের হামলার পর, সীমান্তে সেনা কমান্ডারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, শনিবার দুপুর ৩:৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে দুই দেশ বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। ঘাই আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তানের ডিজিএমও-র তরফ থেকে এসেছিল। এছাড়া, আগামীকাল ১২ মে দুপুর ১২টায় এই বিষয়ে আরও আলোচনা হবে, এমন সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। ঘাই আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তানের ডিজিএমও-র তরফ থেকে এসেছিল। এছাড়া, আগামীকাল ১২ মে দুপুর ১২টায় এই বিষয়ে আরও আলোচনা হবে, এমন সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে শনিবার রাতেই পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করেছে। তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রবিবার রাত বা তার পর, অর্থাৎ আগামিকালের বৈঠকের আগে যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তবে সেনা কমান্ডারদের প্রতিহত করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ডিজিএমও আরও জানান, যদি পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মেনে চলে, তবে আগামিকালের বৈঠকে এর মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে যদি পাকিস্তান পুনরায় চুক্তি লঙ্ঘন করে, ভারত এক বিন্দুও জমি ছাড়বে না।

Comments are closed.