Airport Open Cease Fire : সংঘর্ষ বিরতির পর ৩২ বিমানবন্দরের পরিষেবা চালু

6

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর সীমান্তে অবশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার ফলে যে ৩২টি বিমানবন্দর অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল, সোমবার সেগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে (Airport Open Cease Fire)।

পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে ৭ মে থেকে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের লাগাতার ড্রোন হামলার কারণে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯ মে কেন্দ্র একটি বিবৃতি প্রকাশ করে, যেখানে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির ৩২টি বিমানবন্দরে ১৪ মে পর্যন্ত অসামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।

নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ মে থেকে বিমানবন্দরগুলি পুনরায় চালু করার কথা থাকলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে গত শনিবার। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব আসার পর ভারত সেটিকে সমর্থন করে, এবং ওইদিন বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়।

সীমান্তে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই থামার পর, নির্ধারিত সময়সীমার আগেই সোমবার কেন্দ্রের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

যুদ্ধ পরিস্থিতির পর দেশের ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই বিমানবন্দরগুলি হল—অধমপুর, অম্বালা, অমৃতসর, অবন্তিপুর, বাতিন্ডা, ভূজ, বিকানের, চণ্ডীগড়, হালওয়ার, দিন্ডন, জয়সলমেঢ়, জম্মু, জামনগর, যোধপুর, খান্ডলা, কাংরা, কেশুধ, কিষাণগড়, কুল্লু মানালি, লেহ, লুধিয়ানা, মুন্দ্রা, নালিয়া, পাঠানকোট, পাটিয়ালা, পোরবন্দর, রাজকোট, সারসওয়া, শিমলা, শ্রীনগর, থোয়াইস ও উত্তরলাই। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তির পর সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেশিরভাগ বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমার পর গতকালই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানিয়েছিলেন, শ্রীনগর বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করা হোক। যুদ্ধবিরতির ফলে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটেছে।

Comments are closed.