DGMO PC on Operation Sindoor : DGMO বৈঠকের আগে ভারতীয় সেনাকর্তাদের কড়া বার্তা

9

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : যুদ্ধবিরতির পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম আলোচনা সোমবার বেলা ১২টায় হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ভারতীয় সেনাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই বৈঠক সোমবার সন্ধ্যায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিলম্বের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পরে, সংবাদ সংস্থা পিটিআইও এই খবর নিশ্চিত করেছে।

এই আবহে সোমবার দুপুরে ভারতীয় সেনার সাংবাদিক বৈঠক হয় (DGMO PC on Operation Sindoor)। ভারতীয় সেনা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তাদের সংঘাত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, বরং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। তবে, পাকিস্তান জঙ্গিদের পক্ষাবলম্বন করায়, তাদেরই এর ফল ভুগতে হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর প্রতিক্রিয়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি পাকিস্তান ভোগ করেছে, তার সম্পূর্ণ দায় তাদেরই বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে।

এদিন ভারতীয় সেনার ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট রাজীব ঘাই আবারও স্পষ্ট করে জানান যে, ৭ মে কেবলমাত্র জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন, দুর্ভাগ্যবশত পাক সেনা জঙ্গিদের সমর্থন করছে, এবং ভারত যথাযথভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় সেনা আরও নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কোনও সেনাঘাঁটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। গোটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি স্তরে হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়। ভারতের সুসংগঠিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

এয়ার মার্শাল একে ভারতী সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে স্পষ্ট করেন, ‘আমাদের সংঘাত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, বরং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। ৭ মে আমরা শুধুমাত্র জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিলাম। ভারতীয় সেনা সফলভাবে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে। পাক সেনা জঙ্গিদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল, এবং আমরা তার যথাযথ জবাব দিয়েছি।’

ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সমুদ্রের বিভিন্ন স্তরে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই মন্তব্য বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে জঙ্গি কার্যকলাপের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।’’

ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, একটি পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পিএল ১৫, যা চীনে নির্মিত। ভারতীয় সেনার মতে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হামলার সময় ব্যবহার করেছে।

এদিন ভারতীয় সেনার ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট রাজীব ঘাই আবারও স্পষ্ট করে জানান যে, ৭ মে কেবলমাত্র জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন, দুর্ভাগ্যবশত পাক সেনা জঙ্গিদের সমর্থন করছে, এবং ভারত যথাযথভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় সেনা আরও নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কোনও সেনাঘাঁটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। গোটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি স্তরে হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়। ভারতের সুসংগঠিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

গতকালকের মতোই, এদিনও একাধিক ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে পাকিস্তানের হামলার ধরন এবং ভারতীয় সেনার প্রতিক্রিয়া। চিত্রসহ তুলে ধরা হয়েছে যে, পাকিস্তান ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল, যার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, দূরপাল্লার রকেটের কিছু অবশেষও পাওয়া গেছে। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই এই অস্ত্রগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিএমও রাজীব ঘাই জানিয়েছেন, ভারতের বহুস্তরীয় সুরক্ষা বলয় এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষ কোনোভাবেই করতে না পারে।

Comments are closed.