ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ মে : পাকিস্তান ভারতের ভূখণ্ডে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রচেষ্টা চালালেও, তাদের পরিকল্পনা প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছে ভারতের দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে (Operation Sindoor Success Brief)। চীনা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেও শত্রুপক্ষ সফল হতে পারেনি। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিন বাহিনীর আধিকারিকরা ভারতের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দক্ষতা তুলে ধরেন। এছাড়া, ভারত পাক নিরাপত্তা ভেদ করে ১৬৫ কিলোমিটার ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে, যার তথ্য ছবিসহ প্রকাশ্যে এসেছে।
সোমবার পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ২:৩০-এ দেশের তিন সেনার ডিজিএমও সাংবাদিক বৈঠক করেন। এয়ার মার্শাল ভারতী জানিয়েছেন যে, সামরিক উত্তেজনার সময় পাকিস্তান একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বেশিরভাগ আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত করেছে। তিনি আরও বলেন, পাক হামলার সামনে ভারতের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অবিচল ছিল। এছাড়া, ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, একটি পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত চীনে তৈরি পিএল ১৫ ক্ষেপণাস্ত্র। পাক সেনা হামলার সময় এটি ব্যবহার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে আরও একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করা হয়।
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানিয়েছেন, ভারতের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে পাকিস্তান কার্যত অসহায় অবস্থায় পড়েছে।
তিনি আরও একবার স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ৭ মে কেবলমাত্র জঙ্গিদের ডেরায় হামলা চালানো হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, পাক সেনা জঙ্গিদের পক্ষ অবলম্বন করেছে, এবং ভারত তার যথাযথ জবাব দিয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ভারতের কোনও সেনাঘাঁটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি স্তরে শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়। ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে, ভারতের বহুস্তরীয় সুরক্ষা বলয় এতই শক্তিশালীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষকে কার্যকরভাবে আটকানো সম্ভব হয়।
Comments are closed.