Operation Sindoor Indian Navy : ভারতীয় রণতরীর ভয়ে বন্দরবন্দি পাক নৌসেনা?

7

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানকে কঠোর শিক্ষা দিতে ভারতের লক্ষ্য ছিল করাচি বিমানবন্দর। নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানিয়েছেন, ৯ মে রাতে ভারতীয় নৌসেনা পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে প্রস্তুত ছিল, অপেক্ষা ছিল শুধুমাত্র ভারত সরকারের নির্দেশের (Operation Sindoor Indian Navy)।

দুই দেশের সামরিক উত্তেজনার মধ্যে রবিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতের তিন বাহিনী। সেখানে নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি হামলার পর অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতীয় নৌসেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় আরব সাগরে। জঙ্গি হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করে নেয় ভারত। করাচি বন্দরসহ পাকিস্তানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে নেওয়া হয়। এএন প্রমোদ আরও জানান, ভারতীয় নৌসেনা পাকিস্তানের নৌসেনাকে কার্যত বন্দরবন্দি করে। ভারতের পক্ষ থেকে সমুদ্রে পাকিস্তানের সমস্ত গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হয়। ভারতের উপস্থিতির কারণে পাকিস্তান এক মুহূর্তের জন্যও বন্দর ছাড়তে পারেনি।

৭ মে ভারতের বিমান বাহিনী কীভাবে অভিযান চালিয়েছিল, তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন এয়ার মার্শাল একে ভারতী। তিনি বহাওয়ালপুরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন। এছাড়া, মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার পরবর্তী দৃশ্যও প্রকাশ করা হয়, যেখানে লস্করের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান যে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। ৯-১০ মে রাতে, পাকিস্তান ভারতীয় আকাশসীমায় ড্রোন এবং বিমান প্রবেশ করিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করেছিল। তবে, বেশিরভাগ আক্রমণই সফলভাবে প্রতিহত করা হয়। কিছু হামলা আছড়ে পড়লেও বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। উল্টে, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানি সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, সংঘাতের ফলে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ৫ জন শহীদ হয়েছেন।

সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানিয়েছেন যে, ভারতীয় বাহিনী চাকলালা, রফিকি-সহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ভারত এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখলেও নিয়ন্ত্রিত জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনার বার্তা ছিল পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এরপর, শনিবার বিকেল ৩:৩৫ নাগাদ পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই স্পষ্ট করেন যে, সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তানই দিয়েছিল।

Comments are closed.