ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ মে : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ জানিয়েছেন যে, মহাকাশ থেকে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারতের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করছে (ISRO Satellite For Security। রবিবার মণিপুরের ইম্ফলে কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মূল কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আকর্ষণীয়ভাবে, এই মন্তব্য ভারত-পাক সংঘাত এবং সংঘর্ষবিরতির পর্বের মাঝেই এসেছে।
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ জানিয়েছেন যে, ভারত ধীরে ধীরে মহাকাশ শক্তির ক্ষেত্রে এক প্রাণবন্ত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত তার প্রথম মহাকাশ স্টেশন পেতে চলেছে। রবিবার ইম্ফলের কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, তিনি জানান যে ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্ব সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীদের বিষয়ে আপনারা অবগত আছেন. দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের কৃত্রিম উপগ্রহগুলির সহায়তা নিতে হবে। ৭,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর রাখতে হবে, পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চলের উপরও লাগাতার পর্যবেক্ষণ চালাতে হবে।” তার মতে, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তি অপরিহার্য।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। গত মঙ্গলবার, ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চিহ্নিত নয়টি জঙ্গিঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালায়। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে ওই সময় আক্রমণ করা হয়নি। তবে, এরপর পাকিস্তান ভারতের উপর হামলা চালাতে শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। চার দিন ধরে চলা এই সংঘাতের পর, গত শনিবার মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির বোঝাপড়া সম্পন্ন হয়।
Comments are closed.