ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ মে : পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট অশান্তি প্রশমিত হওয়ার পর, সংঘর্ষ বিরতির আবহে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাবের আদমপুর বায়ুসেনাঘাঁটিতে পৌঁছন (Narendra Modi Adampur Airbase)। সেখানে তিনি বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন।
পাকিস্তান আদমপুর বায়ুসেনাঘাঁটিসহ একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করেছিল, তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বায়ুসেনার দ্রুত পদক্ষেপে সেই সব হামলা ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পালটা আক্রমণের পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের হামলা দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করায় তিন বাহিনীর প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তাঁদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে তিনি আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন।
সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর অসাধারণ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। আকাশ, জল ও স্থলে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। সেনার কার্যকলাপই নতুন নর্মাল সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। ভারত কখনও ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ (পরমাণু হুমকি) বরদাস্ত করবে না।’’
প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে লস্করের সহযোগী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি ২৬ নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ৭ মে ভোররাতে ভারত মাত্র পঁচিশ মিনিটের একটি অপারেশন পরিচালনা করে, যেখানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। এরপর, ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা ও সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান হামলার চেষ্টা চালায়। তবে, ভারত সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা আঘাত হানে, যার ফলে পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শত্রুপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। ভারতীয় সেনার অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।
Comments are closed.