Gammon Bridge : বন্ধ হয়ে গেল ভাঙ্গারপার সেতুর পাশের ডাইভারশন রোড

26

Gammon Bridge : বন্ধ হয়ে গেল ভাঙ্গারপার সেতুর পাশের ডাইভারশন রোড বর্ষার আগেই বরাক উপত্যকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বন্ধ হয়ে গেল শিলচর-কালাইন সড়কে ডাইভারশন রোড। সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি। এদিকে, নিকাশী নালার অভাবে এক পশলা বৃষ্টিতে বানভাসি বড়খলা।

বন্ধ হয়ে গেল ভাঙ্গারপার সেতুর পাশের ডাইভারশন রোড
বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রাস্তায় চলাচল বন্ধের নির্দেশ
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন পুলিশ বাহিনী

বরাক উপত্যকায় বর্ষার আগেই বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। গ্যামন সেতু প্রায় অচল। তারই মধ্যে শিলচর-কালাইন পূর্ত সড়কের ভাঙ্গারপারে বিকল সেতুর পাশের ডাইভারশন রোডও বন্ধ হয়ে গেল। এই রাস্তায় সব ধরনের যানবাহনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। অন্যদিকে, সামান্য বৃষ্টির পরই ভাসছে বড়খলা।

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অচল হয়ে পড়া ভাঙ্গারপার সেতুর পাশের ডাইভারশন রোড জলের চাপে নীচে নেমে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্তবিভাগ ডাইভারশন রোড বন্ধ করে দিয়েছে। যানবাহনের চলাচল রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

এদিকে, শিলচর-জয়ন্তীয়া পূর্ত সড়কের দুর্দশা চরমে। অসম মালা প্রকল্পের কাজে নিরসনে স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তা সংস্কারে নেমেছেন কালীবাড়ি-বিক্রমপুর জেলা পরিষদে বিজয়ী পম্পি দাসের স্বামী সুবীর দাস। নিজের খরচে জেসিবি দিয়ে বিহাড়া-শিবটিলা এলাকায় পূর্ত সড়ক থেকে কাদা সরানোর কাজে নেমেছেন।

শিলচর-জয়ন্তিয়া সড়কে অসম মালা প্রকল্পে সড়ক নির্মাণের কাজে চরম অবহেলা। রাস্তার পাশে নিকাশী ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। তার জেরে এবারও বর্ষার আগেই কৃত্রিম বন্যায় ভাসছে বড়খলা। সমস্যা সমাধানের দাবিতে অনেক আন্দোলন হলেও সুফল মেলেনি। হেলদোল নেই বরাকের মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের।

বড়খলা, কাটিগড়া ২টি বিধানসভা এলাকার লাইফ লাইন শিলচর-জয়ন্তিয়া সড়ক। অসম মালা প্রকল্পের কাজে অনিয়মের জেরে এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।

অসম মালা প্রকল্পের কাজে কোনও নিয়ম নীতিই মানা হয়নি। ফলে, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। কাজ শেষ করার মাস দেড়েকের মধ্যেই রাস্তা ভাঙতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। আগের সেতুটি বড় না করায় এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ওদিকে হারাং নদীর জল উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। হারাং সাবওয়ে সাময়িক বন্ধ। বন্ধ শিলচর-কালাইন সড়কও।

বিপজ্জনকভাবে জল বেড়ে যাওয়ায় হারাং নদীতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে শিলচর-কালাইন সড়কে যানবাহনের চলাচল।

বর্ষা আসতে এখনও দেরি আছে। তার আগেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বরাকের অনেক এলাকা। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট ভেঙে পড়েছে। বহু জায়গায় রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল। কিছু জায়গায় একহাঁটু কাদায় ঢেকে গেছে পাকা রাস্তা। বিশেষ পরিস্থিতিতে বন্ধ শিলচর-কালাইন সড়ক। মানুষের এই দুর্দশা কবে ঘুচবে কেউ জানে না