ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ মে : মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার পর আর ঘরে ফিরতে পারলেন না নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা, পর্বতারোহী ও শিক্ষক সুব্রত ঘোষ (৪৫)। নেমে আসার সময় মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হল তাঁর। এভারেস্টের হিলারি স্টেপের কাছে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে (Mt. Everest Expedition Death)। নেপালের পর্বতারোহণ সংস্থা ‘স্নোয়ি হরাইজন ট্রেকস অ্যান্ড এক্সপিডিশন’-এর সদস্য বোধরাজ ভান্ডারি জানিয়েছেন, “উনি হিলারি স্টেপ থেকে নামতে চাননি।”
৩১ মার্চ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে কলকাতা থেকে নেপালে যাত্রা করেন সুব্রত ঘোষ ও রুম্পা দাস। রানাঘাটের বাসিন্দা রুম্পাও পেশায় শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা সফলভাবে এভারেস্টের শিখরে ওঠেন এবং ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রুম্পা ক্যাম্প ফোরে নিরাপদে ফিরে আসেন, কিন্তু সুব্রত তখনও নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছতে পারেননি। সাউথ সামিট ও হিলারি স্টেপের মধ্যবর্তী স্থানে আটকে পড়ার পর শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
রানাঘাটের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খিড়কিবাগান লেনের বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ পেশায় ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। তিনি বাগদা ব্লকের অন্তর্গত কাপাসাটি মিলনবিথী হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সম্প্রতি তিনি অরুণাচলের গোরিচন শৃঙ্গ জয় করে পর্বতারোহণে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন।
এভারেস্টের শৃঙ্গ থেকে খানিকটা নিচে, দক্ষিণ-পূর্ব গা ঘেঁষা অংশটিই ‘হিলারি স্টেপ’। প্রায় ১২ মিটার দীর্ঘ এই পাথুরে অংশটি পর্বতারোহীদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পথ। ১৯৫৩ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি প্রথম সফলভাবে এই অংশটি পেরিয়ে এভারেস্টের শিখরে পা রাখেন। এরপর থেকেই তাঁর নামে এই অংশটির নামকরণ করা হয় ‘হিলারি স্টেপ’।
সুব্রত ঘোষের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিপিন্সের পর্বতারোহী ফিলিপি দুই স্যান্তিয়াগো। এভারেস্টে আরোহণের সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নেপালের পর্বতারোহণ সংস্থা জানিয়েছে, ক্যাম্প ফোরে পৌঁছানোর পর স্যান্তিয়াগো প্রবল ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁবুতে বিশ্রাম নেওয়ার সময়েই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
Comments are closed.