Mamata Banerjee on Bengal Safari : কমছে কুনকি হাতির সংখ্যা, টোটকা বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

7

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ মে : উত্তরবঙ্গের জঙ্গল সফরে গেলে হাতি সাফারি পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সাফারির সংখ্যা কমে আসছে। এর পেছনে মূল কারণ, কুনকি হাতির সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাওয়া। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর এড়ায়নি বলেই জানা গেছে।

সোমবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে রাজ্য সরকার আয়োজিত বিজনেস সামিটে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে উঠে আসে কুনকি হাতি ও হাতি সাফারির প্রসঙ্গ। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন দফতর ও পর্যটন দফতরের উদ্দেশে বলেন, “কুনকি হাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে, এটা নজরে রাখতে হবে। পাশাপাশি, যদি হাতি সাফারির সুযোগ থাকে, তাহলে তা আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ করতে হবে টুরিজম ও ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টকে (Mamata Banerjee on Bengal Safari)।”

আলিপুরদুয়ারে আরও বেশি হোম স্টে গড়ে তোলার উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আলিপুরদুয়ারে পর্যাপ্ত থাকার ব্যবস্থা নেই। যত বেশি থাকার ব্যবস্থা তৈরি করা যাবে, তত বেশি পর্যটক এখানে আসবেন।”

বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, গরুমারায় বর্তমানে ২৮টি এবং জলদাপাড়ায় প্রায় ৮০টি কুনকি হাতি রয়েছে। জঙ্গল রক্ষা থেকে শুরু করে পর্যটকদের সাফারি সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই কুনকি হাতিগুলিকে নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। তবে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কুনকি হাতিদের মধ্যেও মাঝে মাঝে হিংস্র আচরণ দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে জলদাপাড়ায় আচমকাই হিংস্র হয়ে ওঠা কুনকি হাতির আক্রমণে দশজনেরও বেশি মাহুত প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের কাছে রেলের এক ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীকে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে কুনকি হাতি জোনাকি।

বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির পর কুনকি হাতি ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে কিছু কুনকি হাতি আচমকা হিংস্র হয়ে উঠছে, তা নির্ধারণে একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করেছে বন দফতর। কমিটি মূলত দুটি দিক খতিয়ে দেখছে—এক, মাহুতরা কুনকি হাতির সঙ্গে কেমন আচরণ করছেন; দুই, কুনকি হাতিদের দিয়ে অতিরিক্ত পর্যটক বহন করানো হচ্ছে কি না। এদিকে, হাতি সাফারির সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে পর্যটনের উপরেও—পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বন বিভাগের আধিকারিকদের আশ্বাস, পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Comments are closed.