ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ মে : ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় ১৪২ কোটি টাকা অবৈধভাবে পেয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী—এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (National Herald Case)। বুধবার দিল্লির আদালতে মামলার শুনানিতে তদন্তকারীরা অভিযোগ করেন যে এই অর্থ অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে তাঁদের হাতে আসে। তদন্ত চলছে এই নিয়ে।
বুধবার আদালতে ইডির পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু দাবি করেন যে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে জাতীয় হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়, যা এর আগে পর্যন্ত ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইডির অভিযোগ অনুযায়ী, দুর্নীতির সেই টাকার বড় অংশ পাচার করা হয়েছে এবং কিছু অংশ নিজেদের কাছে রেখে অপরাধমূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
এছাড়া, ইডি দাবি করেছে যে এই মামলায় গান্ধী পরিবারের পাশাপাশি স্যাম পিত্রোদা, সুমন দুবে এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। জাতীয় হেরাল্ড মামলায় প্রথম অভিযোগ ২০১২ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্য স্বামী দায়ের করেন, তবে ইডি ২০১৪ সালে এই মামলার তদন্ত শুরু করে।
‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড’ (AJL) আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন নামে তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত। ২০০৮ সালে AJL আর্থিক সংকটে পড়লে, ২০১১ সালে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর মালিকানাধীন ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা AJL-এর মালিকানা অধিগ্রহণ করে।
এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ার ছিল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর হাতে, এবং বাকি অংশ ছিল প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ ও মতিলাল ভোরার কাছে। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ ছিল যে এই অধিগ্রহণ নিয়ম মেনে হয়নি। মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে AJL-এর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি Young Indian Private Limited-এর হাতে চলে গেছে, যা রাজনৈতিক পরিবার দ্বারা পরিচালিত।
Comments are closed.