Calcutta High Court on SSC Bikash Bhavan Protest : চাকরিহারা আন্দোলনকারী ২ শিক্ষক নেতাকে থানায় যাওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের
ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ মে : বিকাশ ভবনের সামনে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা এখনও অবস্থান বিক্ষোভে শামিল। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনারকে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাঁদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন, “দু’জনকে আজই থানায় যেতে বলুন। কারা উপস্থিত ছিলেন, তা জানিয়ে আসতে বলুন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।” রাজ্যের এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই বিচারপতি ঘোষ তাঁদের তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে (Calcutta High Court on SSC Bikash Bhavan Protest)।
রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা হুলিগানের মতো আচরণ করেছেন, যার ফলে পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, “এই আন্দোলনের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল?” তিনি পরামর্শ দেন যে ৫০-১০০ জন আন্দোলনকারী সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করতে পারেন, তবে সরকারি কর্মচারীরা যেন কোনোভাবে আহত না হন।
বিচারপতির প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করতে পারেন, এবং রাজ্য সরকারকে সেখানে বায়ো টয়লেট ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন, রাজ্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। তবে অন্তঃসত্ত্বাকে আটকানোর বিষয়ে আদালত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। না হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি আপনাদের অবস্থা বুঝতে পারছি, তবে সব সরকারি কর্মী এই সমস্যার সঙ্গে যুক্ত নন।”
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “এরা কি সত্যিই শিক্ষক? বিকাশ ভবনের দরজা ও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয়েছে। কেউ একজন অন্যের উপর উঠে দেওয়াল পার হচ্ছেন—এটা কি শিক্ষকদের আচরণ?” তিনি আরও বলেন, “আমরা কি কিছুই করতে পারব না, আর তারা শুধু লুটপাট চালাবে? আন্দোলনের বিষয়টি শুধু অংশগ্রহণকারীদের জীবন নয়, গোটা সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে।” রাজ্য সরকার রিভিউ করছে, এবং দেশের শীর্ষ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি তাঁদের হয়ে মামলাটি লড়ছেন। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে, এবং রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, “এই দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনারকে আজ থানায় যেতে বলুন। তাঁরা কারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তা জানিয়ে আসুন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।” এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মৌখিক নির্দেশ দেন, “আপনারা পুলিশের কাছে যান, পুলিশ আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না।”
Comments are closed.