Supreme Court on SSC : বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড়!

26

ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ মে : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা অযোগ্য। এই নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁরা আর নতুন পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়ে গেল (Supreme Court on SSC)।

২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়, যার ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারান। দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতন পাবেন, তবে অশিক্ষক কর্মীরা আপাতত চাকরিহারা থাকবেন। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে নতুন করে পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে, এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা নতুন পরীক্ষায় বসতে রাজি নন এবং বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। আদালত আরও জানিয়েছে, ‘দাগি’ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা নতুন পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন না।

এদিন সেই মামলাতে বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, “যারা ব়্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন না। তাঁদের অযোগ্য হিসেবেই গণ্য করা হবে।” আদালতের এই নির্দেশে চাকরিহারাদের একাংশ আরও বিপাকে পড়লেন। তাঁরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হন কি না, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

এসএসসি নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, “যারা র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নতুন পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন না। তাঁদের অযোগ্য হিসেবেই গণ্য করা হবে।” এই আদেশের ফলে চাকরিহারাদের একাংশ আরও বিপাকে পড়েছেন। এখন দেখার বিষয়, তাঁরা পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হন কি না—সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, যার ফলে ২৫,৭৩৫ জন চাকরি হারিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, তবে এর মধ্যে কয়েকজন ‘অযোগ্য’ (দাগি) প্রার্থীদের চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে এবং তাঁরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।
এই ‘অযোগ্য’ তালিকায় মূলত তিন ধরনের প্রার্থী রয়েছেন—

  • যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।
  • যাঁরা প্যানেল-বহির্ভূতভাবে বা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি পেয়েছিলেন।
  • যাঁরা ‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পেয়েছেন।

তৃতীয় পর্যায়ের চাকরিহারারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, কারণ তাঁদের দাবি, তাঁরা সাদা খাতা জমা দেননি, প্যানেলে তাঁদের নাম ছিল, এবং পরীক্ষায় দিয়েই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। তাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক—এই দাবিতে তাঁরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বিচারপতি খন্নার পূর্ববর্তী নির্দেশে তারা আর হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ ওই নির্দেশে কোনও ভুল ছিল না।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রধান মামলাকারীদের পক্ষে বুধবার আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।” তিনি আরও জানান, “র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে, কারণ এটি দুর্নীতির অংশ। তাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে পারবেন না—এই সিদ্ধান্তই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে।”

Comments are closed.