ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ মে : গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের সামনে ঘটে যাওয়া অশান্তির ঘটনায় পুলিশের তলবে সাড়া দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে হাজির হন আন্দোলনকারী তিনজন চাকরিহারা শিক্ষক। এর আগে, এদিন সকালে পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে আরও দুই শিক্ষক তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেন (SSC Teachers Police Station)।
আন্দোলনকারীদের একাংশ পুলিশের তলবকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন, তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, চাকরিহারা শিক্ষকদের বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে। তবে, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না—এমন মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে উপস্থিত হন আন্দোলনকারী তিন চাকরিহারা শিক্ষক— মেহবুব মণ্ডল, আলকাউজাম্মান এবং তপন পাল। তবে এর আগে, পুলিশের নোটিসের জবাব দিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেন আরও দুই শিক্ষক— বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও স্বপন বিশ্বাস।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, যার ফলে ২৫,৭৩৫ জন চাকরি হারিয়েছেন। এই চাকরিহারাদের একাংশ বর্তমানে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১৫ মে আন্দোলনের নামে বিকাশ ভবনের ভেতরে কর্মীদের আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ উদ্ধারে গেলে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর, পুলিশ সুয়োমোটো মামলা দায়ের করে এবং কয়েকজন আন্দোলনকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। এরপর আন্দোলনকারীরা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন, কিন্তু আদালত তাঁদের সেই আবেদন গ্রহণ না করে তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিকাশ ভবনের পরিবর্তে চাকরিহারা শিক্ষকরা সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান নিতে পারেন, তবে সেখানে সর্বোচ্চ ১০০ জন আন্দোলনকারী থাকতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আন্দোলনকারী ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের মঞ্চের অন্যতম সদস্য চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “আমরা কেন এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান করছি, সে বিষয়ে আদালতে সঠিকভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি।” তিনি আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, “আগামী দিনে আমরা আদালতকে আমাদের অবস্থান বোঝাতে সক্ষম হব।
Comments are closed.