ডিজিটাল ডেস্ক, ২৪ মে : দেশজুড়ে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার! বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এই মরশুমে প্রথম মৃত্যু দেখল এই রাজ্যই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন দু’জন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মে মাসে এখন পর্যন্ত সেখানে ২৭৩ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান। এদিকে, রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে (Corona Update India)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জন নতুন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর জেরে দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, যাতে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেন এবং ওষুধ মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে, যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
দেশজুড়ে চলছে ঋতু পরিবর্তনের সময়, ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে বর্ষা। এই আবহাওয়ায় জ্বর, সর্দি, কাশি ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে, আর এরই মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকোপও বেড়েছে।শুক্রবার কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ রাজ্যের সমস্ত জেলায় পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র কেরলের কোট্টায়ামে ৮২ জন সংক্রমিত হয়েছেন, তিরুঅনন্তপুরমে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩, আর এর্নাকুলামে ৪৯ জন কোভিডে আক্রান্ত।
এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রয়োজনে মাস্ক পরার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।
দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যদপ্তর নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত শহরে ২৩ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সরকার আটজনের একটি উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করেছে।” কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
কেবল কেরল ও দিল্লিই নয়, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, গুজরাট, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার গুজরাটে ১৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আশার কথা, এই ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর প্রাণঘাতী নয় বলে বিশেষজ্ঞদের মত। সতর্কতা বজায় রেখে প্রশাসন পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে, যাতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.