ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ মে : প্রাক্তন বিচারপতি এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগে থেকেই উল্লেখ করেছিলেন যে, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ পাবলিক ডোমেনে আপলোড করা হলে কারা যোগ্য ও কারা অযোগ্য, তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে (SSC Teachers At Abhijit Ganguly’s House)। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিতে তিনি এসএসসি (SSC) ভবনেও গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সরব হন।
যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি রক্ষা করার উপায় খুঁজতে রবিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, চাকরিহারদের দুর্দশা ও যন্ত্রণার বিষয়টি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তবে তাঁদের প্রচেষ্টা শুধু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে সীমাবদ্ধ নয়—তাঁরা দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সমস্ত সাংসদের কাছেও তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে চান। মূলত, ওএমআর কপির মাধ্যমে কীভাবে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের বিভাজন করা সম্ভব, সেই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে তাঁরা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শনিবারই বিকাশ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ সরিয়ে নিচ্ছেন চাকরিহারারা। তবে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে চাকরি ফিরে পাওয়ার আন্দোলন বন্ধ হবে না। এদিকে, আইনজীবী এবং সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য চাকরিহারাদের জানিয়েছেন যে যতই আন্দোলন হোক, তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন না। এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই কয়েকজন চাকরিহার আশাহত হয়েছেন।
তমলুকের বিজেপি সাংসদ শুরু থেকেই বলে আসছেন যে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ পাবলিক ডোমেনে আপলোড করা হলে যোগ্য ও অযোগ্যদের সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি আইনি সহায়তা দেবেন। তবে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য স্পষ্টতই বলেছেন, এইভাবে চাকরি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়, চাকরিহারাদের নতুন করে পরীক্ষায় বসতেই হবে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, এর জন্য একমাত্র দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
Comments are closed.