SSC Updates: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাত পোহালেই নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, এবার কি পরীক্ষায় বসতে পারবেন নতুন চাকরীপ্রার্থীরাও?

19

২৯ মে ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহুর্তের সবথেকে বড় প্রশ্ন হল- এবারের পরীক্ষায় কি নতুনরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন? উত্তর- হ্যাঁ! বরং এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হবে। কারণ গত দশ বছর ধরে যারা B.ed পাশ করে বসে রয়েছেন, তারাও এতদিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এবার তাদেরও সুযোগ মিলবে। ফলে এই প্রতিযোগিতা আরো কঠিন হয়ে উঠবে চাকরীপ্রার্থীদের জন্য়।

আগামীকাল, ৩০ মে নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে এসএসসি [SSC]। প্রায় দশ বছর পর নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। শেষ পরীক্ষাটি হয়েছিল ২০১৬ সালে । এর মধ্যে আপার প্রাইমারিতে ২০২২ সালে একটি নিয়োগ হয়েছিল। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটি সুপ্রিম কোর্ট [Supreme Court] বাতিল করেছে। শীর্ষ আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, নতুন করে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই প্যানেলের প্রত্যেককে নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। তবে চাকরিহারা ব্যক্তিরা নতুন পরীক্ষায় বসতে একেবারেই নারাজ।

বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৪৪,২০৩ শূন্যপদ থাকবে। নবম-দশমের ক্ষেত্রে ১১৫১৭+১১৬৯৫ = ২৩২১২ এবং একাদশ দ্বাদশের ক্ষেত্রে ৬৯১২+৫৬০২ = ১২৫১৪। অর্থাৎ মোট ৩৫,৭২৬ শূন্যপদ। সেখানে ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংখ্যা ১৯ হাজার।

অন্যদিকে, গ্রুপ সি তে ৫৯১+২৩৯৮ = ২৯৮৯ এবং গ্রুপ ডি তে ১০০০+৪৪৮৮ = ৫৪৮৮ শূন্যপদ রয়েছে। তবে আপাতত শিক্ষকপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

দুর্নীতি রোধে এবারের পরীক্ষার বিধিও আরও কঠোর করা হবে বলে জানা গেছে। পরীক্ষার বিধিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন:
১. OMR পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হবে এবং OMR-শিটের কার্বন কপি দেওয়া হবে।
২. ইন্টারভিউ বা অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ফিরিয়ে আনা হবে এবং তা ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।
৩. মডেল উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
৪. নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ।
৫. একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা কিভাবে পড়াচ্ছেন, তার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, ডেমো দেখানোর মাধ্যমে।
৬. শিক্ষক প্রশিক্ষণের ওপরেও নম্বর দেওয়া হবে কিনা, সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিহারা ব্যক্তিদের এবারের পরীক্ষায় বাড়তি সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তেমন হলে পাল্টা মামলার সম্ভাবনা রয়েছে।

আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, “পরীক্ষায় দ্বিচারিতা ঘটলে নিশ্চিত মামলা হবে।”