Air India Plane Crash UN : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সরাসরি যুক্ত হতে চায় রাষ্ট্রসংঘ! আপত্তি ভারতের?
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুন : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সরাসরি অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সূত্রের দাবি, রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন বা ICAO) ওই ঘটনায় তদন্তের জন্য নিজস্ব পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। তবে ভারত সরকার সেই প্রস্তাব নাকচ করেছে (Air India Plane Crash UN)।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন, যাঁদের মধ্যে একাধিক বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভারতের তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা—ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA), এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) এবং ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS)। তবে এই তদন্তে যুক্ত হতে চায় একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থাও। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO) গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালাতে চায় এবং নিজেদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ভারত সরকার সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকের অনুমতি দেয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, ভারত সরকার আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ একেবারে চায় না। এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিদেশি কোনও সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ারও পক্ষপাতী নয় নয়াদিল্লি। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO)-কে এই তদন্তে যুক্ত করতে অনিচুক কেন্দ্র। কারণ, সাধারণত ICAO তখনই হস্তক্ষেপ করে, যখন কোনও বিতর্কিত অঞ্চলে দুর্ঘটনা ঘটে বা কোনও বেসামরিক বিমানে সামরিক হামলা হয়। এই পরিস্থিতিতে তারা কেন আহমেদাবাদের ঘটনায় তদন্তে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তা নিয়েই সন্দিহান নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ জুন মঙ্গলবার আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর ভারতীয় বায়ুসেনা যে দুটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে, সেগুলি দিল্লিতে আনা হয়েছে। ওই রাতেই এএআইবি-র দপ্তরে প্রযুক্তিবিদরা ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের কাজ শুরু করেন। মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, বিমানের সামনের দিকের ব্ল্যাক বক্স থেকে ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (CPM) উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরদিন, বুধবার, মেমরি মডিউলও সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য এএআইবি-র গবেষণাগারে ডাউনলোড করা হয়েছে। বর্তমানে সিভিআর (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার) এবং এফডিআর (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার)-এর বিশ্লেষণ চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।