Kasba Rape Case Update : কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি নির্যাতিতার, যৌনতার প্রস্তাব দিয়েছিল ধৃতরা, দেখানো হয় পদের লোভও!

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুন : কসবায় ল কলেজের এক ছাত্রীকে কলেজ চত্বরে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন মনোজিৎ মিশ্র, যিনি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতা বলেই জানা গেছে। অপর দুই অভিযুক্ত বর্তমানে ওই কলেজের ছাত্র। অভিযোগকারী তরুণী মূলত মনোজিতের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন, আর এই ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে (Kasba Rape Case Update)।

কলেজের এক ছাত্রী ২৫ জুন, বুধবার রাতে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে এবং অভিযুক্তদের সন্ধানে তৎপর হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন—তাঁকে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সভানেত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।

অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছেন, কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন মনোজিৎ ও অন্য দুই ছাত্র। বুধবার দুপুরে কলেজে প্রবেশের পর একাধিকবার মৌখিকভাবে হেনস্তার শিকার হন তিনি। অভিযোগ, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে জোরপূর্বক কলেজের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মনোজিৎ তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, আর সেই সময় বাকি দুই অভিযুক্ত ছাত্র ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের—তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামনে এসেছে। সেইসব ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

গত বছরের অগস্টে কলকাতার আরজি হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। শহর জুড়ে সেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় জনমত, দেশজুড়েই ছড়িয়ে পড়ে প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চলে আন্দোলন, যার জেরে দোষী সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। তবুও, কসবার সাম্প্রতিক ঘটনায় স্পষ্ট, বাস্তব পরিস্থিতির তেমন কোনো বদল ঘটেনি। নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও প্রশ্ন এখনও একইভাবে থেকে যাচ্ছে।