ডিজিটাল ডেস্ক ২রা জুলাইঃ পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখেও লাভ হয়নি! এবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সকালে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। গত ১৯ জুন ডায়মন্ড হারবারে দলের এক জখম কর্মীকে দেখতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, কনভয় ঘিরে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগের কেন্দ্রে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার। সুকান্তর কথায়, “তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন, অথচ কোনও পদক্ষেপ নেননি।” প্রাণনাশের আশঙ্কা করে এরপর তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ ডিজি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লেখেন(Sukanta Mazumdar On High Court)।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “গত মাসে আমাকে বিভিন্ন স্থান থেকে তিনবার আটক করা হয়েছে। ১২ জুন, আমাকে কালীঘাটে আটক করা হয়েছিল, ২০ জুন, যখন আমি একজন ব্যক্তির বাড়িতে যাচ্ছিলাম এবং ২৮ জুন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার জন্য। এটি একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”
জানা গিয়েছে,এ বিষয়ে অর্থাৎ পুলিশি হেনস্তার বিরুদ্ধে সরব হয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লেখেন সুকান্ত মজুমদার। তার উত্তর মেলেনি বলেই অভিযোগ। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুকান্তবাবু। জানা গিয়েছে, আজ বুধবার রাজ্য পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে আবার সুকান্ত মজুমদারের ওপর ‘হামলা’র ঘটনা নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে লোকসভার সচিবালয় । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য চাইতে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে। এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে পাঠানো হয়েছে চিঠির অনুলিপিও।