ডিজিটাল ডেস্ক , ৩ জুলাই : কলকাতার কসবা গণধর্ষণকাণ্ড ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যের কাছ থেকে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত, জানতে চেয়েছে—প্রাথমিক তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে (Kasba Rape High Court Update)। বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের তরফে মামলায় হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানানো হয় আদালতে। পাশাপাশি একাধিক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে এই ঘটনা কেন্দ্র করে। এই দিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। আদালত কলেজটির আইন সংক্রান্ত সংবিধান নিয়েও বিশদে জানতে চায়।
অন্যদিকে, মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করেছেন। রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
কলকাতা হাইকোর্ট কসবা গণধর্ষণকাণ্ড ঘিরে কড়া অবস্থান নিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও ছবি বা ভিডিও কোনওভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। ঘটনার পর সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—শিক্ষাপ্রক্রিয়া যেন কোনওভাবেই ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার দিকেও যথাযথ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১০ জুলাই। পাশাপাশি, মামলার কেস ডায়রির একটি কপি নির্যাতিতার পরিবারকে সরবরাহ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)। এই মামলার নিরপেক্ষ ও বিস্তৃত অনুসন্ধান নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বে, নির্দেশ দিয়েছেন—নির্যাতিতার বাবা-মাকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।