ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুলাই : রাজ্যের সমস্ত সরকার পোষিত কলেজের পরিচালন সমিতির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে (College Governing Body Tenure)। এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে—পরিচালন সমিতিগুলির বর্তমান কার্যকালের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
সাউথ ক্যালকাটা আইন কলেজ বন্ধ থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পাঠদানের প্রক্রিয়া তো সচল থাকার কথা। পরিচালন সমিতি কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা আমাকে খতিয়ে দেখতে হবে।” তিনি আরও আশাবাদী কণ্ঠে জানান, “আমার বিশ্বাস, ছাত্রছাত্রীরা খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক শিক্ষার ছন্দে ফিরে আসবে।”
কসবা ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় সাউথ ক্যালকাটা আইন কলেজের পরিচালন সমিতি পঠনপাঠন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রশাসনিক কাজকর্ম নিরবচ্ছিন্নভাবেই চলছে—অধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীরা নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকছেন। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি কলেজ পরিদর্শনে আসেন। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলটি সিল করে রাখায় তাঁরা মূল জায়গায় প্রবেশ না করে কলেজ চত্বর ঘুরে দেখেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। শেষে অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে ঘটনার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
কসবা ঘটনার তদন্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সাউথ ক্যালকাটা আইন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি জানতে চেয়েছে—পাস করেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত কলেজ চত্বরে যাতায়াত করত, তার বিরুদ্ধে এবং অপর দু’জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, কলেজ ঠিক কত সময় খোলা থাকে এবং পঠনপাঠনের পর কোন কোন ব্যক্তি কলেজে অবস্থান করতেন। তাঁরা আরও খতিয়ে দেখছেন—কলেজে মোট কতটি সিসিটিভি রয়েছে, সেগুলি আদৌ সচল কিনা, এবং সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কার্যকর। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির একটি সূত্র জানায়, প্রাপ্ত তথ্য ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে রিপোর্টে কড়া সুপারিশ জানানো হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে—ডিন অফ ল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ইনস্পেক্টর অফ কলেজ, বাণিজ্য বিভাগের প্রধান এবং এক জন সিনিয়র অধ্যাপককে।