Calcutta High Court On College Election : কলেজ নির্বাচনে রাজ্যের ভূমিকা কী? হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

20

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুলাই : কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা কতটা হওয়া উচিত, তা স্পষ্ট করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court On College Election)। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়েছেন, এই নির্বাচনে রাজ্য সরকার কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করছে কি না।
রাজ্যের তরফে আদালতে হাজির ছিলেন সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, অনেক কলেজেই ছাত্র সংসদ গঠিত হয়েছে এবং অ্যান্টি-র‍্যাগিং কমিটিও সক্রিয়। তবে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপাচার্য না থাকার কারণে ভোট আয়োজন সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উপাচার্য নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হলেও এখনও তা অনুমোদিত হয়নি, বলেও আদালতকে জানান তিনি।

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সভ্যসচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে প্রশ্ন তোলেন, যে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও উপাচার্য রয়েছেন, সেখানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কেন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না, তার কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা রাজ্য সরকার দিতে পারেনি।

বিচারপতি সৌমেন সেন এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, “কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে রাজ্য সরকারের কতটা ভূমিকা রয়েছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।” আদালত আরও জানায়, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব আইন থাকলেও, সামগ্রিকভাবে রাজ্যের ভূমিকা কী—তা স্পষ্ট করতে হবে। এদিকে, রাজ্যের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতিটি কলেজে একসঙ্গে নির্বাচন হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় ভিন্ন হওয়ায়, সেই অনুযায়ী আলাদা আলাদা সময়ে ভোট হয়। তবে যেসব কলেজে ইতিমধ্যে ভোটের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে, সেগুলির তালিকা রাজ্য সরকারের পরবর্তী হলফনামায় জমা দেওয়া হবে।

আদালত এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকার সরাসরি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, তা আইনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করে হলফনামা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই নির্ধারিত হয়েছে। তার আগেই রাজ্যকে বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে—কোন কোন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, যেখানে উপাচার্য আছেন, সেসব জায়গায় এখনও নির্বাচন কেন হয়নি, আর রাজ্য সরকারের ভূমিকা বা সীমা ঠিক কোথায়। এখন রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়েই শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে সঙ্গে নজর থাকবে আদালতেরও।