Himachal Disaster : মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৩, নিখোঁজ বহু

15

ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুলাই : হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আপাতত এই দুর্যোগ থেকে রেহাই মিলছে না। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ (Himachal Disaster)।

হিমাচল প্রদেশে চলমান দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মন্ডী জেলায়, যেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। কাংড়া জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৩ জন। চম্বায় ৬ জন, শিমলায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও বিলাসপুর, হামিরপুর, কিন্নৌর, কুল্লু, লাহৌল-স্পিতি, সিরমৌর, সোলান এবং উনা জেলার বাসিন্দারাও প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্যোগে। রাজ্যজুড়ে আহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১০০ ছাড়িয়েছে, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে দেয়।

হিমাচলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা এখন মন্ডী। এই জেলার থুনাগ ও বাগসায়ের এলাকাগুলি ভয়াবহ ধস ও হড়পা বানের কবলে পড়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কারসগ এবং ধরমপুরে ধসে লণ্ডভণ্ড হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। স্থানীয় সূত্রের দাবি, শুধু মন্ডী জেলা থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৪০ জন। প্রাণহানির পাশাপাশি বিপুল সম্পত্তিরও ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকারও বেশি। তবে, এখন প্রাধান্য পাচ্ছে উদ্ধার অভিযান ও নিখোঁজদের সন্ধান। এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ সচিব ডিসি রানা।

প্রশাসনের তথ্যে প্রকাশ, হিমাচলের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকশো বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে, আর অনেক বাড়ি হড়পা বানের জলে ভেসে গিয়েছে। ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে অবকাঠামোও—জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে অন্তত ১৪টি সেতু। প্রাণহানির পাশাপাশি পশুসম্পদের বিরাট ক্ষতি হয়েছে — প্রায় ৩০০ গবাদি পশু প্রাণ হারিয়েছে। রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫০০টি রাস্তা এখন ব্যবহার অযোগ্য — কোথাও ধ্বংস, কোথাও আবার বানের জলে তলিয়ে গেছে রাস্তা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে কিছু জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এর সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও পানীয় জলের সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটেছে, যা জনজীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।