ডিজিটাল ডেস্ক ৬ই জুলাইঃ অবশেষে খুলতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজ। আগামী সোমবার থেকে কলেজ খুলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল। তবে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে না এখনই। শুধু মাত্র ফর্ম ফিলআপের জন্যেই কলেজ খুলছে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। তার পরেই গত ৩০ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজ। কলেজের ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়ে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। এ বার ফের কলেজ খুলতে চলেছে। কলেজ খুললেও তবে মানতে হবে বেশকিছু নিয়মাবলী (Kasba Gangrape Case) ।
১) সোমবার কলেজ চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।
২) প্রথম সেমিস্টারের ফর্ম ফিলাপ করা যাবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
৩) আপাতত এলএলএম কোর্সে থাকা ছাত্রছাত্রীদেরই ক্লাস শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে, বি. এ এলএলবি কোর্সের ক্লাস আপাতত শুরু হচ্ছে না। বিএ এলএলবি কোর্সের চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র তাদের প্রজেক্ট পেপার জমা দিতেই কলেজে আসবেন।
৪) মঙ্গলবার চতুর্থ সেমিস্টারের পড়ুয়ারা কলেজে আসবে। বুধবার আসবে ষষ্ঠ সেমিস্টারের পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার আসবে অষ্টম সেমিস্টারের পড়ুয়া।
৫)নিজের পরিচয় পত্র ছাড়া কাউকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
৬) কলেজে কেন এসেছেন তার কারণ গেটে নিরাপত্তারক্ষী কে জানাতে হবে। বিনা কারণে বা সন্তোষজনক কারণ ছাড়া কলেজে ঢোকা নিষিদ্ধ।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের অনুমতির পরে কলেজের গভর্নিং বডির নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার থেকে কলেজ খুলবে। এলএলএম পড়ুয়াদের ক্লাস রুটিনে নজর রাখতে বলা হয়েছে। তবে প্রত্যেককে বৈধ পরিচয়পত্র নিয়ে কলেজে আসতে হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কলেজে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সমস্ত পড়ুয়ারা একই দিনে কলেজে আসতে পারবেন না। তাঁদের জন্যে নির্দিষ্ট দিন ভাগ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সোমবার বৈধ পরিচয়পত্র নিয়ে কলেজে আসতে পারবেন বিএ এলএলএলবি কোর্সের ফার্স্ট সেমেস্টারের পড়ুয়ারা। ফর্ম ফিলআপের জন্যে কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবার ৮ জুলাই আসতে হবে ফোর্থ সেমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের। সিক্সথ সেমেস্টারের পড়ুয়ারদের যেতে হবে বুধবার ৯ জুলাই। আর ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার কলেজে যাবেন এইটথ সেমেস্টারের অনার্স এবং জেনারেলের ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি বিনা কারণে কলেজে আসা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জুলাইয়ের মাঝখান থেকেই শুরু পরীক্ষা। ফলে, কলেজ বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তেমনই থমকে ছিল প্রশাসনিক কাজকর্মও। এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল, যে ঘটনাস্থল কর্ডন ও সিল করে রাখার পরও কেন গোটা কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রেক্ষাপটে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই প্রক্ষাপটেই কলকাতা পুলিশের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছিল, কলেজে পঠনপাঠন চালানোর ব্য়াপারে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে, ঘটনাস্থল, অর্থাৎ যেখানে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেই গার্ডরুম এবং ইউনিয়ন রুম কোনওভাবেই খোলা বা ব্য়বহার করা যাবে না। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া কোনও অফিসিয়াল নথিপত্র, এমপ্লয়ি রেজিস্টার, অ্য়াটেনডেন্স রেজিস্টার নষ্ট করা যাবে না।