ডিজিটাল ডেস্ক ১২ই জুলাইঃ আরবান নকশালদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির বিজেপি সরকার বহুদিন ধরেই খড়গস্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরা মাঝমধ্যেই শহুরে নকশালদের বিপদ নিয়ে সরব হন। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার আরবান নকশালদের দমনে পৃথক একটি আইন তৈরি করছে।
মহারাষ্ট্র বিশেষ জন সুরক্ষা বিল ইতিমধ্যে বিধানসভায় ধ্বনী ভোটে গৃহীত হয়েছে। রাজ্য বিধান পরিষদে পাশ হলেই সেটি আইন হিসাবে কার্যকর করা হবে(Maharastra Government)। শুক্রবারই মহারাষ্ট্র বিশেষ জন সুরক্ষা বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে। এবার বিধান পরিষদের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যপালের ছাড়পত্র পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। বিলটি বিধানসভায় পেশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলছেন, “কিছু মানুষ নকশালবাদকে জঙ্গলের গণ্ডি পেরিয়ে শহুরে নগরজীবনে ঢুকিয়ে দিতে চায়। রাজ্যে এই ধরনের ৬৪টি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে গোটা চারেক সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সংগঠনগুলি কাজ করছে।” উদ্বেগের সুরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আমাদের রাজ্য নকশালবাদের স্বর্গ হয়ে উঠছে।”
বিল পেশ করার পর বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর একটি বিজ্ঞপ্তির উদাহরণও তুলে ধরেন ফড়ণবিস। তিনি বলেন,“বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও এই শহুরে নকশালদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এই আইনে বামপন্থীদের কোনওরকমভাবে নিশানা করা হবে না। সিপিএম বা সিপিআই সমর্থকদের এতে কোনও সমস্যা হবে না।”
বামপন্থীরা মনে করছে, এই সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে যে কোনও বিরোধী কণ্ঠস্বরকেই ‘শহুরে নকশাল’ তকমা সাঁটিয়ে জেলে ভরে দেওয়া হবে। সরকারের বিরোধিতা করলেই জুটবে ‘নকশাল’ তকমা। এর ফলে শহুরে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে দেওয়া হবে দেশ বিরোধী বলে। তবে, সরকারপক্ষের দাবি, এই আইনের কোনও অপব্যবহার হবে না।
২০১৬ সালে মহারাষ্ট্রের কোরেগাওয়ে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় সমাজের উচ্চশিক্ষিত অংশের বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছিল পুলিশ। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলায় অভিযুক্তদের কয়েকজন জামিনে মুক্ত। স্ট্যানস্বামীর মতো কেউ কেউ কারাগারে বিনা বিচার ও বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। বর্তমান বিজেপি সরকার মাওবাদী এবং তাদের সমযোদ্ধা আরবান নকশালদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রচার শুরু করেছে।