Hasina Daughter WHO Update : দুর্নীতির অভিযোগ! হাসিনা কন্যাকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠাল WHO, দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল ইউনূস সরকার

13

ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ জুলাই : বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তিনি ছিলেন সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান। তবে এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের পেছনে ঠিক কী কারণ, সে বিষয়ে এখনও WHO-এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে চলতে থাকা দুর্নীতির মামলাই এই পদক্ষেপের পেছনে প্রধান কারণ হতে পারে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, এবং এটিকে একটি যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে (Hasina Daughter WHO Update)।

এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলে। দুদকের দাবি, সায়মা তাঁর মায়ের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেই WHO-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধানের পদে আসীন হয়েছিলেন।

সঙ্গে আরও অভিযোগ ওঠে, সায়মা নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, এবং তিনি যে সংস্থার একসময় প্রধান ছিলেন, সেই সংস্থার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও উৎস থেকে প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেন। তবে এই বিপুল তহবিলের সঠিক ব্যবহার বা হিসেব এখনও স্পষ্ট নয়, যা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে:

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতারণা, এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ক্ষমতার অপব্যবহার। অনেকেই মনে করছেন, এই সব অভিযোগই সায়মার বিরুদ্ধে WHO-এর সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে, এবং এই সিদ্ধান্তকে একরকম ‘প্রশাসনিক শাস্তি’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘হেলথ পলিসি ওয়াচ’ শীর্ষক এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, WHO প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস একটি অভ্যন্তরীণ মেল করে সংস্থার কর্মীদের জানিয়েছেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ছুটি শুরু হয়েছে গত ১১ জুলাই থেকে, এবং তা যে অনির্দিষ্টকালের জন্য, সেই কথাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে টেড্রোসের বার্তায়। এই পদক্ষেপকে ঘিরে WHO-র অন্দরমহলে যেমন আলোচনার ঝড় উঠেছে, তেমনি আন্তর্জাতিক মহলেও এর রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।