Nabanna Campaign:স্তব্ধ হাওড়া ! চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের দাবি পুরণে নবান্ন অভিযান

12

ডিজিটাল ডেস্ক ১৪ই জুলাইঃ সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐক্য মঞ্চ। নবান্ন সংলগ্ন গোটা এলাকায় সিসিটিভি এবং ড্রোন দিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে বাড়তি পুলিশ, র‌্যাফ কমব্যাট ফোর্স, এমনকি জলকামানও। আন্দোলনকারীদের রুখতে একেবারে ‘তৈরি’ প্রশাসন। এক সপ্তাহের মধ্য়ে দ্বিতীয়বার নবান্ন অভিযানের ডাক চাকরিহারাদের। প্রথমে শিক্ষাকর্মী। এবার আসরে চাকরিহারা শিক্ষকরা। সোমবার বেশ কয়েকটি দাবিকে কেন্দ্র করেই রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর পর্যন্ত মিছিল করতে চলেছেন এই চাকরিহারা শিক্ষকরা(Nabanna Campaign)।

মূলত, যোগ্য-অযোগ্য চাকরিহারাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে ও রিভিউ পিটিশনের মাধ্য়মে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে, এই দুই দাবিতেই নিজেদের কামড় রাখতে চান ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের’ আন্দোলনকারীরা।

বড় রাস্তার পাশাপাশি নবান্ন সংলগ্ন শিবপুর, মন্দিরতলা, বেলেপোল এলাকাতেও ছোট গার্ডরেল বসানো হয়েছে। মূল চার পয়েন্টেই ২৫টি করে হাই রেজোলিউশনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে বাড়তি দু’হাজার পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “অভিযানকারীদের রুটম্যাপ যেহেতু সুনিশ্চিত হয়নি,তাই সবদিকের পরিস্থিতির উপরই নজর রাখা হবে।”

একদিকে পথে শিক্ষকরা, অন্যদিকে নবান্নের নিরাপত্তায় বজ্র আঁটুনি প্রশাসনের। শনিবার তৎপর হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। ইতিমধ্য়েই নবান্ন সংলগ্ন গোটা এলাকায় সিসিটিভি এবং ড্রোন দিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে বাড়তি পুলিশ, র‌্যাফ কমব্যাট ফোর্স, এমনকি জলকামানও। আন্দোলনকারীদের রুখতে একেবারে ‘তৈরি’ প্রশাসন।

সর্বপরী আন্দোলনের কারণে নবান্ন সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও বিশেষ করে ফোরশোর রোডে বেড়েছে যানজট। ইতিমধ্য়েই আকাশছোঁয়া ব্যারিকেড ও গার্ডরেল বসিয়েছে পুলিশ। যার জেরে সংকীর্ণ হয়েছে যান চলাচলের রাস্তা। দেখা গিয়েছে, একেবারের রাস্তার উপরে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেডের একাংশ। যাতে আন্দোলনকারীরা কোনও ভাবে সেটিকে সরাতে না পারে। সব মিলিয়ে আন্দোলন চড়ছেই, পাল্টা সেটিকে সামাল দিতে তৈরি রাজ্য সরকার।

উল্লেখ্য, একই ভাবে গত বৃহস্পতিবারও নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী। সকাল হাওড়া ময়দানে জড়ো হয়ে নবান্নের দিকে অগ্রসর ছিল তারা। কিন্তু বৃষ্টির জলে আন্দোলনের ঝাঁঝ যেন অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছিল।