SIR Controversy : BLO-দের প্রশিক্ষণ শুরু কমিশনের, তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলায় কি শুরু SIR প্রস্তুতি?

66

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ জুলাই : ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্লক স্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার নজরুল মঞ্চে নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার শতাধিক ব্লকের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে ধাপে ধাপে রাজ্যের অন্যান্য বিএলও-দেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এই উদ্যোগকে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজ্যের শাসকদলের দাবি, অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিজেপির পক্ষ নিয়ে কাজ করছে, পশ্চিমবঙ্গে তেমনটা করা সম্ভব নয় (SIR Controversy)।

ভোটার তালিকা সংশোধনের আড়ালে বিহারের মতোই পশ্চিমবঙ্গে ‘বিশেষ অভিযান’ চালানো হতে পারে—এই আশঙ্কা থেকে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও রাজ্যে নিবিড় তালিকা সংশোধনের কোনও সরকারি ঘোষণা হয়নি, তবে কমিশনের সাম্প্রতিক একাধিক পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে শুরু হয়েছে ব্লক স্তরের আধিকারিক বা বিএলও-দের প্রশিক্ষণ।

তবে কমিশনের দাবি, এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়ারই অংশ। ভোটের আগে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ম মাফিক কাজ। এ বছর নতুন নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে আর ভোটের কাজ করানো যাবে না, ফলে বহু নতুন বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে। তাই তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ আরও জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।

এতেই থেমে থাকেনি নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে পাঠানো এক চিঠিতে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) এবং তাঁদের তদারকদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে এবং কোনও ‘বিশেষ অভিযানে’ যুক্ত হলে তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ‘ইনটেনসিভ’ ভাতা দিতে হবে। ২০১৫ সালে নির্ধারিত পুরনো ভাতা সংশোধন করে, বিএলও-দের বার্ষিক ভাতা ১২,০০০ টাকা এবং তত্ত্বাবধায়কদের ১৮,০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। পাশাপাশি ‘বিশেষ সারসংক্ষেপ সংশোধন (এসএসআর)’, ‘বিশেষ সংশোধন (এসআর)’ বা অন্য কোনও ‘বিশেষ অভিযান’-এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা বরাদ্দেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ‘বিশেষ অভিযান’ কী, সে বিষয়ে চিঠিতে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

জল্পনার আবহেই পালটা প্রস্তুতিতে নেমেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশন এখন সব ভোটপ্রধান রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার কাজ করছে। বাংলাতেও ভোট সামনে, তাই এখানে সেই প্রচেষ্টা চালানো হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেটা এত সহজ হবে না। কারণ, রাজ্যের প্রতিটি বুথে তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। প্রত্যেক বৈধ ভোটারের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ আছে। তাই এ রাজ্যে এমন কোনও ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বুথে বুথে তৃণমূল কর্মীরা তা রুখে দাঁড়াবে।”