Mamata Pujo Committee Meet : ৩১ জুলাই পুজো কমিটির সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, ফের বাড়বে অনুদান?
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ জুলাই : সূত্রের খবর, আগামী ৩১ জুলাই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক (Mamata Pujo Committee Meet)। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেদিনের আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, দমকল বিভাগ, সিইএসসি এবং পরিবহণ বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা। এবারের পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী কি অনুদান বাড়ানোর ঘোষণা করবেন? এই প্রশ্ন ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে উদ্যোক্তাদের মধ্যে। অনেকেই আশাবাদী, এবারও রাজ্যের তরফে মিলতে পারে বাড়তি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা।
এবারও সেই বৈঠক থেকেই দুর্গাপুজোর অনুদানের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার পুজো কমিটির নজর এখন টিকে রয়েছে ৩১ জুলাইয়ের বৈঠকের দিকেই। সাধারণত এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলোর উদ্দেশে বেশ কিছু নির্দেশ ও বার্তা দেন। পরিবেশবান্ধব পুজো আয়োজন, শব্দবিধি মেনে চলা, ট্রাফিক ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ করে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
এ বছরের বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি। রাজ্যে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বৈঠকে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি অংশ নেবেন। প্রশাসনিক সূত্রের মতে, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে তুলে ধরার বার্তাই এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য। উৎসবের সময় বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও নিরাপত্তা—এই সমস্ত পরিষেবায় যেন কোনও ঘাটতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক। কলকাতা ও শহরতলি ছাড়াও জেলার পুজো কমিটিগুলিও যাতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে, সেই বার্তাও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
চলতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা আগেই। ফলে প্রস্তুতির সময় হাতে খুব বেশি নেই। প্রতি বছরই পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তুতি বৈঠক করে থাকেন, যাতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নির্বিঘ্নে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন, মণ্ডপে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দমকল ও বিদ্যুৎ বিভাগের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়েও সব সময় জোর দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে, রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটির জন্য সরকারি অনুদান ঘোষণা করেন তিনি। গত কয়েক বছরে সেই অনুদানের পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে। ২০২৪ সালে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের আশা, এ বছর সেই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন থাকায়, এ বছর পুজো কমিটিগুলির জন্য মুখ্যমন্ত্রী কিছু বাড়তি ঘোষণা করতে পারেন—এই আশায় রয়েছেন বহু পুজো উদ্যোক্তা। তাঁদের ধারণা, ভোটের আগে সরকার পুজো আয়োজকদের আরও কিছু সুবিধা বা অনুদান দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইবে।