ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল: পহেলগাঁও হামলার পর দিল্লিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা পাওয়ার পর তারা জানিয়ে দিয়েছে, রাজধানীতে বেআইনিভাবে বসবাসকারী সন্দেহভাজন বিদেশিদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আর আধার কার্ড, প্যান কার্ড কিংবা রেশন কার্ড গ্রহণযোগ্য নথি হিসেবে গণ্য হবে না। এবার থেকে শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড ও বৈধ পাসপোর্টকেই নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ নথি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের নির্দেশ পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক বিদেশি নাগরিক বেআইনিভাবে বসবাস করছেন এবং তাঁদের অনেকের কাছেই আধার, প্যান কিংবা রেশন কার্ড রয়েছে। এই নথিগুলির ভিত্তিতে তাঁরা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের প্রকৃত পরিচয় নির্ধারণে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে অনেকেই রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র ভোটার আইডি ও পাসপোর্টকে বৈধ পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মোদী সরকারের নতুন নির্দেশিকা জারির পর দিল্লি পুলিশ রাজধানীর সব জেলার ডিসিপিদের তাঁদের এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজধানীতে প্রায় ৩,৫০০ জন পাকিস্তানি নাগরিককে বেআইনিভাবে বসবাসকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যেই অটারি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এই তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সরকার সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে মোদী সরকার একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
Comments are closed.