পহেলগাঁও কাণ্ডে প্রথমবার মুখ খুলেই শাহি হুঁশিয়ারি!

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ১ মে: পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “যারা কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে সরে পড়েছে, তারা যেন ভুলে না যায়— এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। একে একে প্রত্যেক হামলাকারীর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে, কাউকে ছাড়া হবে না।”

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করাই আমাদের সংকল্প। এই লক্ষ্য পূরণ হবেই। শুধু ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ নয়, সারা বিশ্ব আজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল একসঙ্গে এই লড়াইয়ে আমাদের সমর্থন করছে। আমি আবারও সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই— যতক্ষণ না সন্ত্রাসের শিকড় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের অভিযান থামবে না। যারা এই নৃশংস হামলায় জড়িত, তাদের প্রত্যেককে উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের মধুবনীর এক জনসভা থেকে তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, “জঙ্গিরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক না কেন, ভারত তাদের খুঁজে বের করে চূড়ান্ত জবাব দেবে। যারা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে কিংবা পর্দার আড়ালে মদত জুগিয়ে যাচ্ছে, তারাও রেহাই পাবে না। ওদের হাতে যেটুকু জমি এখনও রয়েছে, সেটাও ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হবে।”

পরে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “কাশ্মীরে শান্তির বাতাবরণ ফিরছিল, গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা বাড়ছিল, পর্যটনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু এই অগ্রগতি শত্রুদের সহ্য হয়নি। তাই সন্ত্রাসবাদীরা ফের কাশ্মীরকে অস্থির করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আমি নিহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই— তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন। যাঁরা এই বর্বর হামলার পেছনে রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দু’দেশের দূতাবাসে কর্মীসংখ্যা কমানো এবং পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত সামরিকভাবে প্রত্যাঘাত করেনি দিল্লি।

Comments are closed.