বড় সিদ্ধান্ত! তিন সেনা প্রধানকে পূর্ণ স্বাধীনতা! ভারত প্রস্তুত প্রত্যাঘাতের জন্য?

14

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল: সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ৩ সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। সেনা, নৌ এবং বায়ুসেনাকে তাদের নির্ধারিত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা ও অপারেশনাল ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সোমবারের পর টানা দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ৭, লোককল্যাণ মার্গে অনুষ্ঠিত হল একটি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক। এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান এবং সেনা, নৌ ও বায়ুসেনার প্রধানরা।

মঙ্গলবার পহেলগাঁও হামলা এবং জম্মু-কাশ্মীরের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘিরে পৃথকভাবে দুইটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোককল্যাণ মার্গে ডাকা জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন, যার মধ্যে ছিলেন ২৫ জন ভারতীয় ও এক জন নেপালি নাগরিক। ওই নৃশংস ঘটনার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম অবনতির পথে গিয়েছে। প্রথমে হামলার দায় স্বীকার করেছিল ‘লশকর-ই-তইবা’র ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ), যদিও পরে তারা সেই দায় অস্বীকার করে। তবু, ভারত শুরু থেকেই এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতের অভিযোগ তুলে আসছে।

ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে ভারত। স্থগিত করা হয় ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। পাশাপাশি, নয়াদিল্লি দাবি করেছে, পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের সরাসরি হাত রয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তান তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে ঘটনার ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’-এর দাবি জানায়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামাবাদ ভারতীয় উড়ানগুলির জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

Comments are closed.