Barak : বর্ষার আগেই সড়ক পথে বিচ্ছিন্ন হল বরাক উপত্যকা। গত দু-দিনের টানা বর্ষণে মেঘালয়ে ৬নং জাতীয় সড়কের একাধিক স্থানে ধসে পড়ল পাহাড়। এদিকে, মেরামতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, কাটিগড়ার গ্যামন সেতু। ফলে এবার বর্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে বরাক উপত্যকা সহ ত্রিপুরা ও মিজোরামবাসীকে।
বর্ষার আগেই সড়ক পথে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হল বরাক উপত্যকা। গত দু-দিনের টানা বর্ষণে মেঘালয়ের একাধিক স্থানে নেমেছে ধস।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ক্ল্যারিয়ট ও রাতাছড়ার মধ্যে ধস নামে। পাহাড়ের পাথর, কাদা জলের স্তূপে চাপা পড়েছে ৬নং জাতীয় সড়কের প্রায় ১০০ মিটার অংশ।
এরপরই স্থানীয় প্রশাসন ওই সড়কে সব ধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য প্রভাবিত হচ্ছে ধস সারাইয়ের কাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আগামী দু-দিনের মধ্যে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, মেরামতের জন্য বন্ধ হচ্ছে ৬ নং জাতীয় সড়কের বদরপুরঘাটে থাকা গুরুত্বপূর্ণ গ্যামন সেতু। ২১ মে থেকে সব যানবাহনের চলাচল বন্ধ হচ্ছে। মেরামতের জন্য প্রায় দু-মাস বন্ধ থাকবে ওই সেতু। মানুষের পারাপারের জন্য চালু হয়েছে ফেরি পরিষেবা। বদরপুর ও কাটিগড়ার মধ্যে চলবে যাত্রীবাহী নৌকা।
বিষয়টি নিয়ে আভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ বিভাগের এক কর্মী জানান, মানুষের যাতায়াতের সুবিধায় অতিরিক্ত নৌকা আনা হচ্ছে। তবে, নৌকায় শুধুমাত্র যাত্রীরাই পারাপার করতে পারবেন। বাইক বা অটো নিয়ে কেউ যেতে পারবেন না।
গ্যামন সেতু বরাক উপত্যকার লাইফ লাইন। এই সেতু বন্ধ হলে বরাক উপত্যকার তিন জেলার পাশাপাশি প্রভাবিত হবে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুর রাজ্য। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, শুকনোর মরশুমে সেতু মেরামত করা হলে জনগণের হয়রানি কম হত।
উল্লেখ্য, ৬ নং জাতীয় সড়কেই রয়েছে গ্যামন সেতু। আর এই সেতু মেঘালয়ের মধ্য দিয়ে বরাক উপত্যকাকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করে রেখেছে। কিন্তু এবার বর্ষার আগে বন্ধ হচ্ছে গ্যামন সেতু। একই ভাবে বর্ষার আগেই মেঘালয় অংশে শুরু হয়েছে ধসপতন। ফলে বিপাকে পড়েছেন বরাকের মানুষ।