Bengaluru Stampede:পদপিষ্টের দায় আরসিবির সহ কোহিলিরওঃ কর্নাটক সরকার

10

ডিজিটাল ডেস্ক ১৭ই জুলাইঃ বেঙ্গালুরুর পদপিষ্ট কাণ্ডে চাপ আরও বাড়ল আরসিবির উপর। আইপিএল জয়ের সেলিব্রেশনে এত মানুষের মৃত্যুর দায় পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর চাপাল কর্নাটক সরকার। এমনকী ওই পদপিষ্টের ঘটনায় পরোক্ষে বিরাট কোহলির নামও জড়িয়ে দিল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামের পদপিষ্টের ঘটনার মূলে ছিল পরিকল্পনা এবং সমন্বয়ের অভাব, এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে তদন্ত রিপোর্টে। এই ঘটনায় কর্নাটক সরকার তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল আগেই। এ বার আদালতের নির্দেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে জনসমক্ষে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)সিটি পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা বা অনুমতি ছাড়াই সাধারণ মানুষকে বিজয় উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। যার জেরে ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা এবং প্রাণ হারান ১১ জন(Bengaluru Stampede)।

হাই কোর্টে পদপিষ্টের ঘটনার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কর্নাটক সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্দারামাইয়ার সরকারের দাবি ছিল, ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। কিন্তু হাই কোর্ট জানায়, এই তদন্তের রিপোর্ট গোপন রাখার কোনও কারণ বা আইনি বৈধতা নেই। হাই কোর্ট সেই রিপোর্ট জনসমক্ষে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কর্নাটক সরকার পুরো ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট সব দায় চাপানো হয়েছে আরসিবির উপর। সরকারের দাবি, পুলিশ বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এত বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সোশাল মিডিয়াতেও সেই নিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। যেহেতু সময় কম ছিল, তাই পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

রাজ্য সরকার তাদের রিপোর্টে বলেছে যে, RCB-র ম্যানেজমেন্ট কমিটি ৩ জুন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজয় উৎসবের আয়োজন করবে বলে জানায়। পুলিশকে কেবলমাত্র জানানো হয়েছিল কমিটির সিদ্ধান্তের কথা। পুলিশ আদৌ সেলিব্রেশনের অনুমতি দেয়নি। কারণ, তাদের আশঙ্কা ছিল, স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত ভিড় হবে। তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করার অন্তত সাত দিন আগে পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আয়োজক কমিটি পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট ফর্মে কোনও আবেদন জমা দেয়নি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ না করেই, RCB ট্রফি জেতার পরের দিন সকালে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ছবি পোস্ট করে। পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘সবাই বিজয় উৎসবে স্বাগত। বিনামূল্যে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন সকলে। বিজয় মিছিল শুরু হবে বিধান সৌধ থেকে এবং শেষ হবে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। তার পর সেখানেই সেলিব্রেশন হবে।’

এ ছাড়াও, RCB তাদের অফিসিয়াল হ্যান্ডলে বিরাট কোহলির একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে। সেখানে বিরাট বেঙ্গালুরুবাসী এবং RCB ভক্তদের সঙ্গে সেলিব্রেশনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর পর আরও একাধিক পোস্ট করা হয় দলের তরফে বিজয় উৎসব নিয়ে। উলটে চিন্নাস্বামীর মূল অনুষ্ঠানের ঘণ্টা দুয়েক আগেও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই বিজয় শোভাযাত্রা হবে বলে ঘোষণা করা হয় বলে কর্ণাটক পুলিশ। তার মধ্যে ওই পোস্টের জন্যও অনেক মানুষ জমায়েত করেন বেঙ্গালুরুর রাস্তা এবং স্টেডিয়ামের বাইরে। আর সেই চূড়ান্ত অব্যবস্থার ফলেই এই রকম দুর্ঘটনার স্বাক্ষি থাকল গোটা ভারত।