Bihar Election:৫২ লক্ষ নাম বাদ বিহার ভোটার তালিকায়,বিতর্কিত বিহার নির্বাচন

15

ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে জুলাইঃ ভারতের বিহার রাজ্যে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR) চালু করে নির্বাচন কমিশন বিতর্ক তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, গোটা প্রক্রিয়াটি একটি সুসংহত এবং সাংবিধানিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। বিতর্ক চলছে বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, সেই রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে ৫২ লক্ষের বেশি নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে সংশোধন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে(Bihar Election)।

কমিশন আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “২৪.০৬.২০২৫ তারিখে SIR আদেশ অনুসারে, ১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত, খসড়া ভোটার তালিকায় যেকোনও সংযোজন, বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের জন্য আপত্তি দাখিলে যেকোনও জনসাধারণের জন্য পুরো এক মাস সময় থাকবে।”

কমিশন জানিয়েছে যে, কাগজপত্র-সহ বা ছাড়াই গণনা ফর্ম জমা দেওয়া প্রতিটি ভোটারকে ১ অগাস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি কোনও ভোটার তাঁর গণনা ফর্ম জমা দিতে অক্ষম হন, তবে ঘোষণাপত্রের সঙ্গে নির্ধারিত ফর্মে দাবি জমা দেওয়ার পরে তাদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

কমিশন আরও জানিয়েছে যে, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবং প্রকাশের পরেও, মনোনয়নের শেষ তারিখ পর্যন্ত নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে।

কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, “বিহারের ১২টি প্রধান রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতিদের নিযুক্ত প্রায় ১ লক্ষ বিএলও, ৪ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লক্ষ বিএলএ-সহ সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থা একত্রে কাজ করছে সেইসব ভোটারদের অনুসন্ধানের জন্য, যাঁরা এখনও তাদের গণনা ফর্ম জমা দেননি বা তাঁদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি।”

নির্বাচনী সংস্থা দাবি করেছে যে, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR পরিচালনা করা তাদের সাংবিধানিক কর্তব্য। আদালতে, যেখানে বিষয়টি বিচারাধীন, কমিশন যুক্তি দিয়েছে যে- সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতার উল্লেখ করে সমগ্র প্রক্রিয়াটি একটি সুসংগত এবং একতিয়ারভিত্তিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে।