Bihar Voter List SC : বিহারের ভোটার লিস্ট নিয়ে মহুয়াদের মামলা, আবেদন সাড়া, কবে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে?

12

ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুলাই : নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ নিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার যৌথ শুনানিতে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত। বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং এবার সেই বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সোমবার মামলাগুলি গ্রহণ করে আদালত জানায়, আসন্ন বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি হবে। তার আগে মামলাকারীরা নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠাতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া ঘিরেই মূলত শুরু হয়েছে এই আইনি লড়াই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ভোটারদের জন্মপ্রমাণপত্র হিসেবে শুধুমাত্র জন্মের শংসাপত্র ও বাবা-মায়ের জন্মপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধার বা রেশন কার্ডকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। আর এই শর্ত নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এত কঠোর নিয়মে কোটি কোটি মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন এবং তাদের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

ভোটার তালিকা সংশোধনের নতুন নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর সঙ্গে এই মামলা করেছেন এডিআর (Association for Democratic Reforms), পিইউসিএল, আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা এবং সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের জারি করা এই নিয়ম সংবিধান ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিরোধী। মহুয়ার আবেদনে বলা হয়েছে, এই শর্ত আরোপের ফলে গণতন্ত্র গভীর সংকটে পড়তে পারে। তিনি আরও অনুরোধ করেছেন, শুধুমাত্র বিহারেই নয়—এই নিয়ম যাতে দেশের অন্য রাজ্যেও কার্যকর না হয়, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করুক।

মহুয়া মৈত্রের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও সিইউ সিংহ, ενώ মনোজ ঝার পক্ষে থাকবেন কপিল সিব্বল। মামলার শুনানির সময় আইনজীবীরা আদালতের নজরে এনেছেন যে, বহু প্রবীণ ভোটার যাঁরা বহুবার ভোট দিয়েছেন, তাঁরাও নতুন নির্দেশের জেরে হঠাৎ ‘অযোগ্য’ বলে গণ্য হচ্ছেন। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে জন্মের শংসাপত্র না জমা দিলে ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া শুনানির সময় মন্তব্য করেন, যেহেতু বিহারে এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি, তাই সময়সীমা নিয়ে তৈরি করা চাপের কোনও সঙ্গত কারণ নেই। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। গোটা পরিস্থিতির উপর রাজনৈতিক মহল নিবিড় নজর রাখছে।