CDS On Operation Sindoor : ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল পাকিস্তান? মেনে নিলেন, কিন্তু সংখ্যাটা কত, জানালেন না সেনাপ্রধান

26

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩১ মে : পাকিস্তানের দাবিকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্কের মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) অনিল চৌহান। যদিও তিনি সরাসরি এই প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি, তবু অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন (CDS On Operation Sindoor)।

পাকিস্তানের দাবি ছিল, অপারেশন সিঁদুরের পালটা হিসেবে তারা রাফালে-সহ ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলেও ভারতের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই উত্তেজনার মাঝেই শনিবার সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনা সর্বাধিনায়ক একই প্রশ্নের সম্মুখীন হন। ভারত সত্যিই যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কি না—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরি হ্যাঁ বা না বলেননি। বরং তার বক্তব্য ছিল, “যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়াটা বিষয় নয়, বরং কেন সেটি ধ্বংস হলো, সেটাই আসল বিষয়।”

যদিও প্রশ্নকর্তা আরও দৃঢ়ভাবে জানতে চান, “তার মানে কি ভারত একটি যুদ্ধবিমান পাক হামলায় হারিয়েছে?” এর উত্তরে সংক্ষেপে ‘হ্যাঁ’ বললেও, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান আরও ব্যাখ্যা করেন, “যেটা ইতিবাচক তা হল, আমরা আমাদের কৌশলগত ভুলটা তখনই বুঝেছি এবং তা সংশোধন করে মাত্র দুইদিনের মধ্যে পুনরায় সেই কৌশল প্রয়োগ করেছি। আমরা সমস্ত যুদ্ধবিমান উড়িয়েছি এবং দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে তা সফলভাবে ধ্বংস করেছি।” পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি স্পষ্টতই জানান, “বিমান ধ্বংসের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল বিষয় হলো, কেন সেটা ধ্বংস হল এবং এরপর আমরা কী পদক্ষেপ নিয়েছি।”

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে ভারত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাঁটিতে অভিযান চালায়, যা “অপারেশন সিঁদুর” নামে পরিচিত। এই অভিযানের ফলে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়ে জম্মু-কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে, তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে সেই আক্রমণ প্রতিহত করে। জবাবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এই চাপের মুখে পাকিস্তান ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাঠায়।