Classroom Seating Arrangement : ‘ব্যাকবেঞ্চ’ ভ্যানিস? ক্লাসরুমে বদল!

15

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৪ জুলাই : স্কুলের ক্লাসে এবার আর পেছনের বেঞ্চ বিষয়টাই রাখতে চাইছে না শিক্ষা দফতর। ইংরেজি অক্ষর “C” বা “U”-এর মতো হবে ক্লাসরুমে বেঞ্চের বিন্যাস (Classroom Seating Arrangement)। তাহলেই আর পেছনের বেঞ্চে বসার তকমা দেওয়া যেমন বন্ধ হবে, পাশাপাশি পেছনের বেঞ্চে বসে পড়ুয়াদের দুষ্টুমিও বন্ধ হবে। শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বেরোতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।

তবে হ্যাঁ, এই ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতরের নয়। তামিলনাড়ু রাজ্যের শিক্ষা দফতরের। স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর কান্নাপ্পন তামিল ভাষার “পা” অক্ষর আদতে যা কিনা অর্ধবৃত্তাকার, সেই বিন্যাসেই বেঞ্চ সাজানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিজ্ঞপ্তি জারি করার পেছনে তাঁর যুক্তি, বেঞ্চের এই বিন্যাসের ফলে ক্লাসের মাঝখানে একটা জায়গা তৈরি হবে। মুক্ত জায়গা মুক্ত চিন্তা তৈরি করবে বলেই তাঁর বিশ্বাস। একইসঙ্গে যে কোনও পড়ুয়া শিক্ষককে প্রশ্ন যেমন জিজ্ঞাসা করতে পারবে, শিক্ষকরাও সব ছাত্রের ওপর নজরদারি চালাতে পারবেন।

যদিও এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে সমালোচনা। প্রশ্ন উঠছে, সিদ্ধান্তের ফলে যাঁদের ওপর প্রভাব পড়বে, সেই সব পক্ষের সঙ্গে আগে কেন আলোচনা করা হল না? পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে কী ভেবেছে সরকার?

শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের একাংশের দাবি, যেহেতু অর্ধবৃত্তাকারে বসানো হবে, তার ফলে ক্লাসে বোর্ডের দিকে ঘাড় বেঁকিয়ে দেখতে হবে পড়ুয়াদের। এর ফলে পড়ুয়াদের সপ্তাহে পাঁচ দিন ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাড় ঘুরিয়ে রাখতে বাধ্য করা হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই আশঙ্কা।

সরকার পোষিত বা সরকারি স্কুলে তুলনায় বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী থাকে। এই ব্যবস্থায় একটি ক্লাসরুমে বেশি সংখ্যক পড়ুয়াকে জায়গা দেওয়া মুশকিল হবে। যা কিনা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও চিন্তার।

মূলত স্থানার্থী শ্রীকুট্টান নামের একটি একটি মালয়ালম ছবি থেকেই এই ভাবনার সূত্রপাত। যদিও এই বিতর্কে যোগ হয়েছে রাজনীতিও। পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে বিরোধী এআইএডিএমকে।

যদিও বিতর্কের পরেই বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ সামনে আসায় বর্তমানে এটি বাস্তবায়ন করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।