Cyclone Updates: এই ঘূর্ণিঝড় কি বাংলায় ধ্বংসলীলা চালাবে? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ই মে: মে মাসে বঙ্গোপসাগরের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বাড়ে, তাই এই মাসটিকে ঘূর্ণিঝড় মৌসুমও বলা হয়। জলীয় বাষ্পপূর্ণ পূবালী হাওয়ার প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে রাক্ষুসে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরির খবর প্রকাশিত হয়েছে, যার নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা।
তবে, Regional Meteorological Centre (RMC) এই বিষয়ে কোনো আগাম সতর্কতা জারি করেনি। এমনকি, মৌসম ভবনও জানিয়েছে যে কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস তো দূরের কথা, ‘শক্তি’ নামের কোনো ঘূর্ণিঝড়ের উল্লেখ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও নেই। মৌসম ভবন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরিও হচ্ছে না এবং আসছেও না।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে কেবল একটি ‘সাইক্লোনিক সার্কুলেশন’ তৈরি হয়েছে, কোনো ‘সাইক্লোনিক স্টর্ম’ নয়। তারা আরও জানায় যে ১৩ মে তারা এই ‘সাইক্লোনিক সার্কুলেশন’-এর কথা জানিয়েছিল, যা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মৌসম ভবন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ‘সাইক্লোনিক সার্কুলেশন’ এবং ‘সাইক্লোনিক স্টর্ম’ আবহাওয়াবিদ্যাগতভাবে দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে এর আগেও বলা হয়েছিল যে এই ঘূর্ণাবর্ত আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা এবং হলেও তা কতটা শক্তিশালী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবহাওয়া দফতর বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।
জানা গেছে, প্রথমে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর এই সতর্কতা জারি করেছিল এবং তাদের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এটি প্রকাশিতও হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি) ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল এবং সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট এলাকায় প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছিল।
Comments are closed.