ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ মে : সংঘর্ষবিরতির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রথমবার ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই বৈঠক সোমবার দুপুর ১২টায় হটলাইনের মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল, তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, তা পিছিয়ে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (DGMO Meet Postponed)। সময়সীমা পরিবর্তনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও আলোচনায় থাকবেন ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও কাসিফ আবদুল্লা। বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হতে পারে। বৈঠকের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকের আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সেনা সর্বাধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল সিং চৌহান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কাছে কোন কোন দাবি উত্থাপন করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেনা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে তুলে ধরেন।
ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ আলোচনায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমনে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে। একইসঙ্গে, ভারত যে স্বদেশের সীমানার মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাবে, সেটিও স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হবে।
এছাড়া, পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধারের বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে বলে জানা গেছে। আগেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে PoK ফেরানো ছাড়া ইসলামাবাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির বিশেষ কোনো আলোচনা হবে না। জঙ্গিদের প্রত্যর্পণের দাবি তোলা হতে পারে, পাশাপাশি পাকিস্তানের শাহবাজ প্রশাসনকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে—যদি তারা সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয়, তাহলে যথাযথ প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ১০ মে বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতিতে ভারত ও পাকিস্তান সম্মত হয়েছিল। ফলে, ১২ মে বিকেল ৫টায় নির্ধারিত সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পরই ডিজিএমও পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
Comments are closed.