Digha Rath Yatra:প্রথমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ গড়াবে দীঘার রথ, তুমুল ব্যস্ততায় মুখ্যমন্ত্রী সহ সৈকত শহর
ডিজিটাল ডেস্ক ২৭জুনঃ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হতে চলেছে দীঘা! জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পর সৈকত নগরী দীঘায় আজ পালন হবে প্রথম রথযাত্রা উৎসব। যার সাক্ষী থাকতে পূণ্যার্থীদের ঢল নামতে শুরু করেছে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই। দু’লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম হবে বলেই জানাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। শেষবেলার প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। চন্দননগরের আলো, রঙিন পতাকা থেকে শুরু করে ফুল-মালায় কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দীঘা শহরকে। সকলের অপেক্ষা শুধু মাত্র সেই মাহেন্দ্রক্ষণের, যখন মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে রথের চাকা গড়াতে শুরু করবে। বুধবারই দীঘায় এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ মন্দিরে এসে রথযাত্রার প্রস্তুতি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পর রথযাত্রার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি ‘গুণ্ডিচা’মন্দির (Digha Rath Yatra)।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই ‘নন্দীঘোষ’(জগন্নাথদেবের রথ), ‘তালধ্বজ’(বলরামদেবের রথ) এবং ‘দর্পদলন’(দেবী সুভদ্রার রথ) মন্দিরের সামনের রাস্তায় নিয়ে আসা হবে। শুক্রবার সকাল থেকেই চলবে পূজা অর্চনা। সকাল ৯টায় চালু হবে ‘পাহান্ডি বিজয়’। অর্থাৎ, কীর্তন ও নৃত্যের মধ্যে দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার নিম কাঠের বিগ্রহ কোলে করে নিয়ে আসা হবে রথে। পাথরের বিগ্রহ দর্শনের জন্য রথের দিন থেকে থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত খোলা রাখা হবে মন্দির। দুপুর দুটোয় রথের সামনে বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয়েছে। যাতে যোগ দেবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। নৃত্য পরিবেশন করবেন জাপান, ইউক্রেন, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৫০জন বিদেশি। সোনার ঝাড়ু তৈরির জন্য পাঁচ লক্ষ এক টাকা দিয়েছিলেন মমতা। সেই ঝাড়ু দিয়েই এদিন জগন্নাথদেবের যাত্রাপথ সাফ করবেন তিনি। এরপর ঠিক বেলা আড়াইটের সময় রথের চাকা গড়াতে শুরু করবে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে। গোটা যাত্রাপথে দু’দিকে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যারিকেডের ভেতর থেকেই রথের রশি (বাসুকী নাগ) স্পর্শ করতে পারবেন। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা এড়াতে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামতে দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, যাত্রা শুরু আগে মহাপ্রভুর রথে স্থাপন করা হবে সুদর্শন চক্র। জগন্নাথদেবের সুরক্ষার দায়িত্ব এই চক্রের। সুদর্শন চক্র সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে চড়বেন দেবী সুভদ্রার রথে। তারপর শুরু হবে রথযাত্রা। স্নান পূর্ণিমা থেকে টানা ১৫ দিন মন্দির বন্ধ ছিল। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় ‘নেত্র’উৎসবের মধ্যে দিয়ে দরজা খুলতেই, মন্দিরে উপচে পড়ে মানুষের ঢল। মাসির বাড়িতেও প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে। সেখানে নতুন মন্দিরে আজ থেকে ৯দিন থাকবেন মহাপ্রভু। আজ মাসির বাড়িতে তাঁকে প্রথমেই পরিবেশন করা হবে বিশেষ পিঠে।