ডিজিটাল ডেস্ক ৯ই জুলাইঃ বিকালে সল্টলেকে বিজেপি দফতরে গিয়ে নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর রাতেই দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিল্লিতে তলব। দুয়ে দুয়ে চার করছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন ফের দলে গুরুত্ব পেতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ ? যদিও কেন দিল্লিতে ডাকা হয়েছে বা কে তাঁকে দিল্লিতে ডেকেছেন, সেই বিষয়ে কিছুই খোলসা করেননি দিলীপ ঘোষ, তবে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মতো এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh In Delhi)।
প্রশ্নঃ
সব জল্পনা শেষ?
সেই বন্ধুরা খুব কষ্টে আছে যারা আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসে পাঠিয়ে দিয়েছিল। যারা নতুন অন্য পার্টির নাম দিয়ে আমাকে তার নেতা বানিয়ে দিয়েছিল। তাদের কাল থেকে কীভাবে চলে দেখি। কাল রাত থেকে তারা মিটিং করেছে এইবার কি ফান্ডা বের করা যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্ন-উত্তরে,উঠে আসা অভিমানী দীলিপ ঘোষ বলেন দলের সঙ্গে আমার দেওয়া নেওয়া সম্পর্ক নয়। ‘রাজনীতি কারোর কাছে প্রফেশন। কারোর কাছে অকুপেশন। আমার কাছে মিশন।’ আমি কিছু দিতে এসেছি। পার্টি দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি পালন করেছি মাত্র। ২৬ আমাদের কাছে একটা মাইলস্টোন। আমাদের সেটা পার করতে হবে। পার্টি এখন সিনিয়র লোককে সভাপতি করেছে। তিনি নতুন পুরোনো মিলিয়ে কাজ করতে চাইছেন। এগোতে চাইছেন। আমি সঙ্গে আছি।
আদি-নব্য সংঘাতের জের ?
পুরোনোদের সবসময় গুরুত্ব থাকা উচিত। কারণ তারাই রক্ত দিয়ে ঘাম দিয়ে স্যাক্রিফাইস করে পার্টিকে দাঁড় করিয়েছেন। পার্টি ক্ষমতার কাছাকাছি এলে বহু লোক এসে জুটে যায়। সবাই আদর্শ নিয়ে আসে না। বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে আসে। তাই নিতে হবে সবাইকে। পরিবেশ পজিটিভ করতে হবে।
দীলিপ ঘোষ আদি-নব্য অ্যাডজাস্ট করবেন কীভাবে?
এদের তো আমিই এনেছি। আমার সময়তেই এরা এসেছে। কেউ বলতে পারবে আমি কাউকে বঞ্চিত করেছি? দিলীপ ঘোষ যখন মনে করেছে,দলে আমার গুরুত্ব নেই,আমি সরে গেছি। যখন ডাকা হয়েছে তখন আমি গেছি। তিনি আরও বলেন এখন লক্ষ্য ২০২৬। সঙ্গে এও জুড়ে দেন ২১-এ সাফ না হলেও হাফ হয়েছিল। এবার কর্মীরা বলেছেন আর ১০০ আসন চাই। আমরা লড়াই করে এইটা পার্টিকে পাইয়ে দেব।
দিল্লি চলোর প্রশ্ন করতেই দীলিপবাবু বলেন,দিল্লি যাওয়া রাজনীতির ফ্যাশন। আমি দিল্লি গিয়েও জনসংযোগ করেছি। আজ কেউ না কেউ ডেকেছেন। পার্টির বড় নেতা!(কে ডেকেছেন কিছুতেই বললেন না দিলীপ) আমি তাই যাচ্ছি।