ডিজিটাল ডেস্ক ১১ই জুলাইঃ প্রায়শই কান পাতলে শোনা যায় বিভিন্ন জায়গা চিকিৎসকের নিগ্রহের ঘটনা । যেন আকছাড় ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। যেখানে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আর্জিকরের ঘটনা বারংবার। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা সমাজ মাধ্যম সহ রাজনৈতিক মহল। ঠিক সেই আবহেই আবারও চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা খবরের শিরনামে(Doctor Torture)।
কিছুদিন আগেই কলকাতার ট্রপিকাল মেডিসিন হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে এক চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছিলেন কাঞ্চন। নিজের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করেন। হুমকি দেন। চিকিৎসককে বদলির হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসক মেহবুবার রহমান জানিয়েছেন,পুরো ঘটনাই স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। তবে সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ খুবই ক্ষিপ্ত এই ঘটনায়।
কাঞ্চন বলেন,“দিদিশাশুড়ির রক্তচাপ মাপার কথা বলেছিলাম আমি। তাতেই খুব রূঢ় ভাবে জবাব দেন চিকিৎসক। আমায় বলা হয় ‘আপনি আমায় নির্দেশ দিচ্ছেন!’, তাতে আমি ‘সরি’ বলি। এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই শ্রীময়ীর দিদাকে সারিয়ে তুলেছিলেন। সেখানে ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন রূঢ় ব্যবহার পাব ভাবিনি।”
শুধু তাই নয় বারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীর তাণ্ডব!স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল , বারাকপুরের বাসিন্দা কার্তিক দাস এলাকার বিজেপি কর্মী। তাঁর বাবা দীনেশ দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে তাকে বারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন ওই মাল্টি স্পেশালিটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় দীনেশবাবুর। এনিয়ে পরিবারের তরফে মারাত্মক অভিযোগ তুলে বলা হয়, রোগীকে জরুরি বিভাগে রেখে চিকিৎসা করানোর বদলে কত টাকার প্যাকেজে ভর্তি করা হবে তা নিয়ে দর কষাকষি করছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় রোগী ভর্তি হবে না দেখে হাসপাতালের উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে শ্বাসকষ্টে রোগীর মৃত্যু হয় বলেই অভিযোগ তোলে রোগীর পরিবার। এনিয়েই শুরু হয় বচসা।
এদিন এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মন্ত্রী শশী পাঁজাও গিয়েছিলেন স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। ডিরেক্টরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন,‘‘রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হিসাবে আমি এখানে এসেছি। ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা হয় চিকিৎসক সঙ্গেও। তাঁদের কথা শুনেছি। বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গেও কথা বলব। এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। কেউ প্রতিবাদ জানাতেই পারেন। তবে স্বাস্থ্য পরিষেবা যেন কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়।’’ এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গেও একপ্রস্থ কথা হয়েছে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির।