Donald Trump USA One Big Beautiful Bill : ফের ট্রাম্পের বিলে আর্থিক চাপে পড়বেন লক্ষ লক্ষ ভারতীয়? কী আছে এই বিলে?

8

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ মে : আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগোল! রবিবার রাতে মার্কিন হাউস বাজেট কমিটি এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যদি এটি আইনে পরিণত হয়, তবে আমেরিকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ ভারতীয় এবং অনাবাসী ভারতীয়দের জন্য এটি আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। নতুন আইন কার্যকর হলে, আমেরিকা থেকে নিজ দেশে পরিবারের কাছে টাকা পাঠানো আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে অনাবাসীদের জন্য (Donald Trump USA One Big Beautiful Bill)।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে প্রস্তাবিত One Big Beautiful Bill নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে! ১,১১৬ পাতার এই বিলের মূল লক্ষ্য কর কাঠামো পুনর্গঠন। বিশেষ করে, আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা বা গ্রিনকার্ড নিয়ে বসবাসকারী ব্যক্তিদের জন্য এটি আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, আমেরিকার নাগরিক নন, অথচ কর্ম বা ব্যবসার সূত্রে সেখানে বসবাস করেন—তাঁরা এই আইনের আওতায় পড়বেন। প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, যদি তাঁরা আমেরিকায় উপার্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে চান, তবে তার উপর পাঁচ শতাংশ কর চাপানো হবে। করের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় সীমার উল্লেখ নেই, অর্থাৎ যে কোনও পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করলেই কর দিতে হবে। তবে আমেরিকার নাগরিকদের জন্য এই বিধি প্রযোজ্য হবে না।

এই নয়া বিল আইনে পরিণত হলে আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় ৪৫ লক্ষ ভারতীয় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন, যার মধ্যে ৩২ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত রয়েছেন। প্রস্তাবিত কর কাঠামো শুধুমাত্র উপার্জিত অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—বিনিয়োগ থেকে আয় এবং শেয়ার বাজারের লাভও করের আওতায় আসবে। অর্থাৎ, আমেরিকায় অর্জিত এই ধরনের আয় নিজ দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রেও নতুন কর বিধি প্রযোজ্য হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) তথ্য অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আসা ১১,৮৭০ কোটি ডলারের একটি বড় অংশ আমেরিকা থেকে এসেছে। আরবিআইয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৩,২০০ কোটি ডলার আমেরিকা থেকে ভারতে প্রবাহিত হয়েছে।

ট্রাম্পের দলের মধ্যেই ‘বড় সুন্দর বিল’ নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট! গত শুক্রবার বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির সময় ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি পাঁচ রিপাবলিকান সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন। ফলে বিলটি পাসের পথে বড় ধাক্কা খায় ট্রাম্প প্রশাসন। বিলটি এখন আস্থাভোটের জন্য পাঠানো হয়েছে, তবে তার আগে মার্কিন হাউস বাজেট কমিটি বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্প কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন।

Comments are closed.